বুধবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এমন ইঙ্গিত দেন। এর আগে দুপুরে ডিএনসিসি’র স্থগিত নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেন সুপ্রিম কোর্ট।
সিইসি বলেন, বিষয়টি নিয়ে কমিশনের সঙ্গে বসতে হবে। আমরা তাড়াতাড়ি এই নির্বাচন করে ফেলবো।
তখন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা বলেন, মার্চে শুরু হওয়া উপজেলা পরিষদের মাঝেই এ নির্বাচন করা হবে। তবে এ বিষয়ে কমিশনে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখানে পুনঃতফসিল করা হবে। বসতে হবে সবার সঙ্গে। তাড়াতাড়ি করে ফেলবো। উপজেলা নির্বাচন প্রভাব ফেলবে না। এর মাঝখানেই করে ফেলবো।
এর আগে আসছে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তফসিল দিয়ে মার্চের প্রথম থেকে পাঁচ ধাপে উপজেলা নির্বাচন করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন।
২০১৮ সালের ১৭ এবং ১৮ জানুয়ারি ডিএনসিসি (নতুন ১৮টি ওয়ার্ডসহ) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাধারণ ও উপ নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশ দেন আদালত।
একই বছর ৯ জানুয়ারি ডিএনসিসি’র মেয়র পদে উপ-নির্বাচন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ১৮ জানুয়ারি সে তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল। আর ভোটগ্রহণের কথা ছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু পরে আদালত ছয়মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন।
ওই তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৬ জানুয়ারি ভাটারা থানার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান এবং বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ১৭ জানুয়ারি শুনানি শেষে আদালত ওই তফসিলের ওপর সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ওই নির্বাচনের জন্য তফসিল কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
ভোটার তালিকা প্রকাশ হয় ৩১ জানুয়ারি। তার আগেই তফসিল ঘোষণার করায়, ভোটার তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় কিভাবে প্রার্থী হবেন এবং ৩০০ ভোটার সমর্থকের স্বাক্ষর নেবেন। এছাড়া যারা কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন তাদের মেয়াদ কি আড়াই বছর না পাঁচ বছর হবে- এসব প্রশ্নকে সামনে রেখে ওই রিট আবেদনটি করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
ইইউডি/টিএ