রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করা হলফনামায় তিনি এ তথ্য উল্লেখ করেছেন।
প্রিন্স মুসাখ্যাত মুসা বিন শমসেরের এই ছেলে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে মাস্টার্স অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পাস বলে উল্লেখ করেছেন।
তার নামে অতীতে কিংবা বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। দায়-দেনা বা ঋণও নেই তার।
ববি হাজ্জাজ পেশা হিসেবে শিক্ষকতা ও ব্যবসার কথা জানিয়েছেন। শিক্ষকতা থেকে তার বছরে আয় হয় তিন লাখ ২৭ হাজার টাকা। আর তার স্ত্রীর আয় হয় তিন লাখ টাকা। ব্যাংকের সুদ থেকে তার আয় ১২ হাজার ৪১২ টাকা। আর শেয়ার ৫০০ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন নতুন নিবন্ধন পাওয়া এনডিএম’র এ চেয়ারম্যান।
অস্থাবর সম্পদ হিসেবে হাতে তার ৫৪ লাখ ১০ হাজার ৮৬ টাকা, স্ত্রীর কাছে ৪৫ হাজার টাকা আছে। বৈদেশিক মুদ্রা না থাকলেও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার জমা আছে ১৩ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪০ টাকা। আর স্ত্রীর নামে আছে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। ডেটকো প্রাইভেট লিমিটেডের ৫০০ শেয়ার আছে নিজের নামে।
নিজের নামে সাড়ে ১২ লাখ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি আছে। এছাড়া ১০ হাজার টাকার অলংকার ও পাঁচ হাজার টাকার আসবাব রয়েছে তার। আর ইলেকট্রনিকস সামগ্রী যা আছে, তার মূল্য তিনি জানেন না।
এসবের বাইরে তিনি ঋণ দিয়েছেন ৫০ লাখ টাকা। আর অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছেন এক লাখ নয় হাজার টাকা।
এদিকে, স্ত্রীর কাছে ১০০ ভরি সোনা, পাঁচ লাখ টাকার ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, চার লাখ টাকার আসবাব আছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
ববি হাজ্জাজের বাড়ি বা দালান বা ফ্ল্যাট কিংবা কোনো কৃষি-অকৃষি জমি তথা তার কোনো স্থাবর সম্পত্তি নেই।
ববি হাজ্জাজ ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিলের ডিএনসিসি নির্বাচনেও অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু মাঝপথে এসে তিনি ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। গত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি প্রতিদ্বিন্দ্বিতা করেন। সম্প্রতি দলের নিবন্ধন পাওয়ায় এবারই প্রথম নিজের প্রতীক সিংহ মার্কায় ভোটে অংশ নেবেন তিনি।
২৮ ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। প্রয়াত ব্যবসায়ী নেতা ও আলোচিত মেয়র আনিসুল হকের শূন্য পদে উপ-নির্বাচন করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে ছয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এদের মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের মনোনয়নপত্র ঋণ খেলাপের কারণ দেখিয়ে বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
ইইউডি/টিএ