মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত যাচাই বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল ঘোষণা করা হয়।
রফিকুল আলম আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
জানা গেছে, আদিতমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজনকে টপকে মনোনয়ন পান রফিকুল আলম। এ মনোনয়নকে কেন্দ্র করে রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের কয়েক দফায় সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক ও ৩ পুলিশসহ ৩০ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৪ জনের নামসহ অজ্ঞতনামা দেড়শ’ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে। যার কারণে জেলার সব থেকে উত্তেজনাপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করছে এ উপজেলায়।
এ প্রার্থীর নিজ নামিও বিএডিসি'র সরকারি সার বিক্রেতার লাইসেন্সটি (সনদ) ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ছোট ভাই রেজা উদ দৌলার নামে এফিডেভিট করে পরবর্তিকালে তা বাতিল করেন। সেই লাইসেন্স মূলে গত ৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি বাফার গোডাউন থেকে সার উত্তোলন করা হয়। নতুন করে এভিডেভিট না করে মনোনয়নের সঙ্গে বাতিলকৃত এফিডেভিট পত্রটি সংযোজন করেন এ প্রার্থী। যা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আইন ১৯৯৮ এর ৮(জ) ধারা মতে অবৈধ বলে গণ্য করেন বাছাই কমিটি।
প্রার্থী রফিকুল আলম বাংলানিউজকে জানান, সরকারি সার ব্যবসার সনদপত্রটি ছোট ভাই রেজা উদ দৌলার নামে এফিডেভিট করে দেন। কিন্তু বাছাই কমিটি ওই এভিডেভিটটি বিধি সম্মত নয় উল্লেখ করে তার মনোনয়ন বাতিল করেছেন। তবে মনোনয়ন বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল করবেন বলে জানান তিনি।
রির্টানিং কর্মকর্তা জেলা নির্বাচন অফিসার মঞ্জুরুল হাসান বাংলানিউজকে জানান, প্রার্থীর সার ব্যবসার লাইসেন্সের (সনদ) এফিডেভিট পত্রটি বিধি সম্মত না হওয়ায় রফিকুল আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে তিনি আপিলের সুযোগ পাবেন বলেও জানান রির্টানিং কর্মকর্তা।
এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক ইমরুল কায়েস ও জাতীয় পার্টির নিগার সুলতানা রানী চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯
আরএ