ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নীলফামারী সদরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত শাহিদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
নীলফামারী সদরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত শাহিদ

নীলফামারী: নীলফামারীতে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নীলফামারী সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়েজ উদ্দিন তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে সদর উপজেলায়  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের শাহিদ মাহমুদ।

ফয়েজ বিএনপির শরীক ২০ দলীয় দলের ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির আম প্রতীকের হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।  

অপরদিকে শাহিদ মাহমুদ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

নীলফামারী জেলার ছয় উপজেলার উপজেলা নির্বাচনে তিনটি করে উপজেলায় জেলা রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দুইজন। এদের মধ্যে নীলফামারী সদর, ডোমার ও ডিমলা উপজেলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম এবং জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে জেলার ছয় উপজেলার চেয়ারম্যান পদে ২১, ভাইস চেয়ারম্যানে ৩১ ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জনসহ মোট ৭৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। যাছাই বাছাই, মনোনয়নপত্র বাতিল এবং আপিলে বেশ কয়জন প্রার্থীতা ফিরেও পায়। সর্বশেষ মনোনয়পত্র প্রত্যাহারের দিন মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩জন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

এরা হলেন- নীলফামারী সদরে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়েজ উদ্দিন ও ডিমলা উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আমজাদ হোসেন সরকার ও সৈয়দপুর উপজেলায় আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক।

ফলে নীলফামারী সদরে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে শাহিদ মাহমুদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।  

অপরদিকে জেলা সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন। ডোমার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন। ডিমলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যানে ২ জন। জলঢাকা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন।  

কিশোরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও সৈয়দপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা রির্টানিং কর্মকর্তাদ্বয় জানান, ছয় উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন ও সংরক্ষিত পদে ১৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।