নির্বাচনের পরিবেশ স্বাভাবিকই আছে। চলতি বৈরী আবহাওয়াতেই ভোটার উপস্থিতি কম বলেও মন্তব্য করেন সিইসি।
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর উত্তরার আইইএস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্রে নিজের ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের সামনে সিইসি এসব কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা ভোটের পরিবেশ তৈরি করে দিতে পারি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তো ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে পারবো না। আমরা পরিবেশ তৈরি করেছি। ভোটার না আসার দায় প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলোরই। যে দলগুলো ভোটে আসেনি, সে দায়ও ওই দলগুলোর।
সিইসি বলেন, এ নির্বাচন ভোটারবিহীন নয়। ভোটার উপস্থিতি কম। তবে দিন শেষে এই উপস্থিতি কিছুটা বাড়বে। তবে সার্বিক বিবেচনায় ভোটার উপস্থিতি কম।
ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার পেছনে দুটো কারণের কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, একটি কারণ হলো, এ নির্বাচনের মেয়াদ অল্প দিনের। ফলে ভোটারদের আগ্রহ কম। আবার এখানে সব দল অংশ নেয়নি। এতেও উপস্থিতি কম হয়েছে।
নির্বাচনে উপস্থিতির হার কম হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের দায় আছে কি না— এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন ভোটের পরিবেশ তৈরি করে। ভোটারদের তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আনে না। এ কাজ করে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দল। তাই উপস্থিতি কমের দায় তাদের।
বৃহস্পতিবার থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি নিয়েই ডিএনসিসির মেয়র পদে উপনির্বাচন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচন, দুইটি ওয়ার্ডে উপনির্বাচন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটির (ডিএসসিসি) নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। বিজয়ীরা নির্বাচিত হবেন এক বছরের জন্য।
বাংলাদেশ: ১২২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
আরএম/এমজেএফ