ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

হেলিকপ্টারে পাঠানো হলো নির্বাচনী সরঞ্জাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
হেলিকপ্টারে পাঠানো হলো নির্বাচনী সরঞ্জাম

খাগড়াছড়ি: আগামী ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে খাগড়াছড়ির আটটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে শেষ হচ্ছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। ইতোমধ্যে দুর্গম ভোটকেন্দ্রগুলোতে হেলিকপ্টারে করে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। এছাড়া জেলার তিনটি উপজেলাকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে প্রশাসন।

আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিবদমান আঞ্চলিক দলগুলোর সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।  

খাগড়াছড়িতে নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের পাশাপাশি থাকবে সেনাবাহিনী ও বিজিবি।

নির্বাচনে আঞ্চলিক দলের উত্তাপ থাকায় তিনটি উপজেলাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
 
এবার খাগড়াছড়ির আটটি উপজেলায় মোট ৭৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২১ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯ জন। খাগড়াছড়ি সদর ও মানিকছড়ি উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। মানিকছড়িতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আট উপজেলার ১৭৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে লক্ষ্মীছড়ি ও দীঘিনালার তিনটি দুর্গম কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হবে হেলিকপ্টার।
 
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৬ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত পাঁচদিন তিনটি ইউনিয়ন মিলে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। প্রত্যেক উপজেলায় দুই প্লাটুন করে বিজিবি মোতায়েন থাকবে। দীঘিনালা, পানছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে আরো এক প্লাটুন করে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ১৭ মার্চ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ এ দুই ক্যাটাগরিতে ভোটকেন্দ্রগুলোকে ভাগ করা হয়েছে। সে অনুপাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
এদিকে, নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে গত ১৬ মার্চ চট্টগ্রামে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। সভায় অন্যান্য জেলার মতো খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় তিন পার্বত্য জেলায় নির্বাচনে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে বলে জানানো হয়।
 
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, খাগড়াছড়িতে আঞ্চলিক দলগুলোর সদস্যরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাই জেলার দীঘিনালা, পানছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি এ তিনটি উপজেলাকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছি।  

‘সভায় তিন উপজেলায় অতিরিক্ত আরো এক প্লাটুন করে বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ’ 

তিনি বলেন, আমরা ভোটারদের আশ্বস্ত করতে চাই, শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর।
 
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে।  

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। ভোটাদের নিশ্চিন্তে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
এডি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।