সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের জন্য র্যাব-বিজিবি ছাড়াও পুলিশ ও আনসারের প্রায় ১৪ সহস্র ফোর্স মাঠে দায়িত্ব পালন করছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কেন্দ্রগুলোকে সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) দুই ভাগে বিভক্ত করে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
দুই উপজেলার ১৬৯ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১২৫টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। সদর উপজেলার ৯১ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৩ ভোটকেন্দ্র এবং দক্ষিণ সুরমায় ৭৮ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬২ ভোটকেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ নির্ধারণ করা হয়েছে। সে বিবেচনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। সাধারণ কেন্দ্রে ৩ জন পুলিশ ও ১২ জন আনসার, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ৪ জন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা। দুই উপজেলায় ২ জন করে বিচারিক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে।
উপজেলায়গুলোতে ৮১৬টি কেন্দ্রে চার হাজার ৪১৪টি কক্ষে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটগ্রহণের দায়িত্বে রয়েছেন ১৪ হাজার ৫৮ জন কর্মকর্তা। এর মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসার ৮১৬, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার চার হাজার ৪১৪ জন এবং আট হাজার ৮২৮ জন পোলিং এজেন্ট।
জেলার ১২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (নারী-পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ১৭৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৬, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৭৬ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪১ প্রার্থী ভোটের মাঠ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর মধ্যে সাতটিতে আওয়ামী লীগ ছাড়াও ক্ষমতাসীনদলের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন ১৬ জন। পাঁচটিতে রয়েছেন নৌকার একক প্রার্থী ছাড়াও জাতীয় পার্টির চারজন, বিএনপি ঘরানার স্বতন্ত্র প্রার্থী ছয়জন এবং ইসলামী ঐক্যজোটসহ (ওআইজে) ও অন্য স্বতন্ত্র ১৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এসব উপজেলায় মোট ভোটার ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৭১০ জন। এর মধ্যে ১০ লাখ আট হাজার ৯০ জন পুরুষ এবং আট লাখ ৮৫ হাজার ৭১০ জন নারী ভোটার।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
এনইউ/আরএ