প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোটগ্রহণের আয়োজন করায় ভোটার ও পর্যবেক্ষকদের মধ্যেও এ নিয়ে ব্যাপক কৌতুহল রয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার পিপিএম জানান, ফেনী সদর, সোনাগাজী, দাগনভূঞা ও ফুলগাজীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১ হাজার ৫শ’ পুলিশসহ ৫ হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
চার উপজেলায় ২৯২টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯৪টি ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিটি কেন্দ্রে তিনজন পুলিশের সঙ্গে ১২ জন আনসারসহ ১৫ জনের একটি টিম রয়েছে। প্রত্যেক ইউনিয়নে উপ-পরিদর্শকের (এসআই) নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি মোবাইল টিম, প্রতি দুই ইউনিয়নে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স রিজার্ভ রয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নেতৃত্বে প্রতি উপজেলায় ২০ সদস্যের স্পেশাল টিম মাঠে কাজ করছে। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের স্পেশাল টিম তদারকি করবে। এছাড়াও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে মাঠে কাজ করছে।
এদিকে ১৫ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। সহিংসতা এড়াতে ছাগলনাইয়া উপজেলা ব্যতিত সদর, সোনাগাজী, দাগনভূঞা, পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় ১৫ প্লাটুন বিজিবি মাঠে আছে।
তারা ভোটকেন্দ্রে ও আশপাশের এলাকায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে টহল দিচ্ছে। সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন জানান, সদর উপজেলায় তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এক প্লাটুন সংরক্ষিত ও দুই প্লাটুন রেগুলার মাঠে রয়েছে।
ফেনীস্থ-৪ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল নাহিদ জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিজিবি সদস্যদের মাঠে মোতায়েন করা রয়েছে। তারা স্ট্রইকিং ফোর্স হিসেবে উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করছে। নির্বাচন শেষ হওয়ার দুইদিন পর পর্যন্ত তারা পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমে মাঠে থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৯
এসএইচডি/আরআর