বুধবার (২২ মে) নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে— নেত্রকোণার পূর্বধলা, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার স্থগিত নির্বাচন ১৮ জুন অনুষ্ঠানের জন্য সিদ্ধান্ত দিয়েছে ইসি। এক্ষেত্রে এসব উপজেলার নির্বাচন যে পর্যায়ে স্থগিত করা হয়েছিল, সেই পর্যায় থেকেই আবার প্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয়েছে।
এর আগে রাজশাহীর পবা উপজেলার স্থগিত নির্বাচনও ১৮ জুন সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
১৮ জুন পঞ্চম উপজেলা পরিষদের পঞ্চম তথা শেষ ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ ধাপে ১৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের তফসিল দেওয়া হয়েছে।
উপজেলাগুলো হলো— শেরপুরের নকলা, নাটোরের নলডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, পটুয়াখালীর রাংগাবালী, বরগুনার তালতলী, নারায়ণগঞ্জ বন্দর, গাজীপুর সদর, রাজবাড়ীর কালুখালী, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ, মাদারীপুর সদর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার বাঞ্ছারামপুর ও বিজয়নগর, কুমিল্লার আদর্শ সদর ও সদর দক্ষিণ এবং নোয়াখালী সদর উপজেলা।
সব মিলিয়ে এ দিন ২২উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানিয়েছেন, শেষ ধাপে ছয়টি উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এগুলো হলো— গাজীপুর সদর, নারায়ণগঞ্জ বন্দর, বাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, কুমিল্লার আদর্শ সদর ও সদর দক্ষিণ এবং নোয়াখালী সদর উপজেলা।
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন গত ১০ মার্চ শুরু হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ, চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ভোটগ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন। চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ছয়টি উপজেলায় এবং ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপেও চারটি উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ করে ইসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
ইইউডি/এমজেএফ