রোববার (১৬ জুন) রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচারণার শেষ সময়।
অঙ্গীকার-প্রতিশ্রুতি প্রদানের শেষ দিনে প্রার্থীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
সরেজমিনে ভোটের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ঈদ পরবর্তী সময়ে তৎপরতা কম থাকলেও প্রচারণার শেষ মুহূর্তে ভোটারদের মন জয় করতে আদা জল খেয়ে মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা।
বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন, হাট-বাজারের ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে গিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা। উপজেলাটিতে এর আগে নির্বাচনের কোনো অভিজ্ঞতা না থাকায় নিজেদের কৌশলমত প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে কে হচ্ছেন প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান এ নিয়ে ১৮ জুন সন্ধ্যায় ফলাফলের অপেক্ষায় উপজেলাবাসী। তবে প্রার্থী একাধিক হলেও আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র প্রার্থীকে সামনে রেখেই ভোটের হিসেবে করছেন তারা।
এদিকে- শায়েস্তাগঞ্জ সর্বশেষ উপজেলা হলেও শিল্পাঞ্চলকে ঘিরে গাজীপুরের পরেই এই উপজেলার গুরুত্ব বলে মনে করা হচ্ছে স্থানীয়ভাবে। এ বিষয়টিকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকেই তুলে ধরছেন ভোটারদের সামনে। এছাড়া শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলা বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে থাকা বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া বেলালের মামলা দায়েরের বিষয়টিও প্রচার করছেন তার কর্মী-সমর্থকরা।
চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান সরকার শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলায় রূপান্তর করেছে। এখন সময় এসেছে এই উপজেলাকে উন্নত করার। আমি নির্বাচিত হলে উন্নয়ন তরান্বিত করে শায়েস্তাগঞ্জকে দেশের মধ্যে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করব ইনশাল্লাহ।
এদিকে- বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ৭ বারের নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল। অতীতে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে উপজেলার উন্নয়ন করবেন বলে প্রচার করছেন প্রার্থী ও তার সমর্থকরা।
গোলাম কিবরিয়া বাংলানিউজকে জানান, ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন তিনি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলে তিনিই জয় লাভ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও ঘোড়া প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলী আহমদ খানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন করে মোট ১০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। তারা হলেন- গাজিউর রহমান এমরান (মাইক), সৈয়দ তানভীর আহমেদ জুয়েল (চশমা), খন্দকার শফিক সরদার (তালা), আব্দুল মতিন মাস্টার (বই), বদরুল আলম দীপন (টিউবওয়েল), সাবেরা সুলতানা হ্যাপি (কলস), মমতাজ বেগম ডলি (প্রজাপতি), মুক্তা বেগম (পদ্ম ফুল), রুবিনা আক্তার (ফুটবল) ও পারভীন আক্তার (হাঁস)।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪৫ হাজার ৬৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২২ হাজার ৬২১ এবং নারী ভোটার ২৩ হাজার ৪৫ জন। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদী তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
আরএ