ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৮ জুন) ২২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এগুলোর মধ্যে ১৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণের তফসিল দেওয়া হয়েছিল প্রথমে।
তফসিলের ১৬টি উপজেলাগুলো হলো- শেরপুরের নকলা, নাটোরের নলডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, বরগুনার তালতলী, নারায়ণগঞ্জ বন্দর, গাজীপুর সদর, রাজবাড়ীর কালুখালী, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ, মাদারীপুর সদর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার বাঞ্ছারামপুর ও বিজয়নগর, কুমিল্লার আদর্শ সদর ও সদর দক্ষিণ এবং নোয়াখালী সদর উপজেলা।
এছাড়া যোগ হওয়া ৬টি উপজেলার মধ্যে রয়েছে- নেত্রকোণার পূর্বধলা, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও ফেনীর ছাগলনাইয়া।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর আগের ৩২ ঘণ্টা পূর্বে নির্বাচনের সব প্রচার বন্ধ রাখতে হয়। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার। সে অনুযায়ী, রোববার দিনগত মধ্যরাতেই শেষ হচ্ছে প্রচার কাজ। এক্ষেত্রে প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য যে কোনো ব্যক্তি এ আইন অমান্য করলে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট প্রার্থী প্রার্থিতা নির্বাচিত হলেও বাতিল করতে পারে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানিয়েছেন, শেষ ধাপে ছয়টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোটগ্রহণ করা হবে। এগুলো হলো- গাজীপুর সদর, নারায়ণগঞ্জ বন্দর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, কুমিল্লার আদর্শ সদর ও সদর দক্ষিণ এবং নোয়াখালী সদর উপজেলা।
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন গত ১০ মার্চ শুরু হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ, চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ভোটগ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে চতুর্থ ধাপে ৩১মার্চ ছয়টি উপজেলায় এবং ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপেও চারটি উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ করে ইসি।
ভোটগ্রহণ উপলক্ষে বন্ধ থাকবে সব ধরনের ইঞ্জিনচালিত যানবাহনও। এক্ষেত্রে রোববার (১৬ জুন) মধ্যরাত থেকে মোটরসাইকেল এবং অন্যান্য ইঞ্জিনচালিত যানবাহন বন্ধ থাকবে ১৭ জুন মধ্যরাত থেকে ১৮ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৯
ইইউডি/এসএইচ