ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ঢাকার দুই সিটি ভোটের তারিখ নির্ধারণ রোববার

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
ঢাকার দুই সিটি ভোটের তারিখ নির্ধারণ রোববার

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ভোটের তারিখ রোববার (২২ ডিসেম্বর) নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ওইদিনই তফসিল ঘোষণার হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।

তফসিল নির্ধারণের জন্য রোববার (২২ ডিসেম্বর) একটি সভা ডেকেছে ইসি সচিবালয়। এতে আলোচনার বিষয়বস্তুতে প্রথমেই রাখা হয়েছে-‘ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল নির্ধারণ’।



ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেন, আমরা ভোটের প্রস্তাবনা তৈরি করে ইতোমধ্যে কমিশনের কাছে দিয়েছি। সেখানের ভোটের তারিখ ফাঁকা রাখা হয়েছে। রোববারের আলোচনায় সিদ্ধান্ত এলে ফাঁকা জায়গায়গুলো ভোটের তারিখ দিয়ে পূরণ করা হবে। এরপর তফসিল ঘোষণা হবে। এক্ষেত্রে সভা শেষেই তফসিল ঘোষণা হতে পারে।
 
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বাংলানিউজকে জানান, কমিশন বৈঠকে ভোটার তারিখ নির্ধারণ হবে। সিদ্ধান্ত এলে সেদিনই তফসিল ঘোষণা হতে পারে।
 
সূত্রগুলো জানায়, ভোটের জন্য জানুয়ারির একেবারে শেষের সময়কে ভাবা হচ্ছে। কেননা, এই দুই সিটির পুরো নির্বাচন হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। আর ইভিএম পরিচালনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়া শেষ হবে জানুয়ারির শেষ নাগাদ।
 
কর্মকর্তা বলছেন, ভোটের দিন হিসেবে ৩০ কিংবা ৩১ জানুয়ারিও ভাবনায় রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর তফসিল হলে ৪০-৪১ দিন সময় পাওয়া যাবে। সাধারণত ৪০ দিনের কম সময়ে ভোট করতে চায় না কমিশন। এতে নির্বাচনী কাজের জন্য পর্যাপ্ত সময় মেলে না।
 
২০১৫ সালে ঢাকার দুই বিভক্ত সিটির প্রথমবার ভোট হয়েছিল ২৮ এপ্রিল, ওই দিনটি ছিল মঙ্গলবার। আর উত্তরের মেয়র আনিসুক হক মারা গেলে উপ-নির্বাচন হয়েছিল চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি, দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। ২০২০ সালের জানুয়ারির ৩০ তারিখ বৃহস্পতিবার। ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি/সমমান পরীক্ষা রয়েছে। এক্ষেত্রে ৩১ জানুয়ারি ইসির পক্ষে সম্ভব নয়।
 
ডিএনসিসিতে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র আছে ১ হাজার ৩১৮টি। ভোটকক্ষ আছে ৭ হাজার ৮৪৪টি ভোটকক্ষ রয়েছে। সম্ভাব্য ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন।
 
ডিএসসিসিতে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র আছে ১ হাজার ১৫০টি। আর ভোটকক্ষ আছে ৬ হাজার ৬২২টি। এ সিটিতে সম্ভাব্য ভোটার ২৪ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৬ জন।
 
নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বাস্তবায়ন করছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ।  

এ বিভাগের অফিসার ইনচার্জ স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান বলেন, প্রায় ১৪ হাজার ৪৬৬টি ভোটকক্ষের জন্য ২০ হাজার ইভিএম প্রস্তুত রাখা হবে। আর প্রতি কেন্দ্রে এক করে সেনা সদস্য রাখা হলেও লোকবল লাগবে প্রায় ২ হাজার ৫শ জনের মতো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।