ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

৫ হাজার শর্টগান, ৫০ হাজার গুলির প্রয়োজন আনসারের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
৫ হাজার শর্টগান, ৫০ হাজার গুলির প্রয়োজন আনসারের

ঢাকা: আসন্ন ঢাকা উত্তর (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৫ হাজার শর্টগান ও ৫০ হাজার গুলির প্রয়োজন আনসারের।

ডিএনসিসির রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় আয়োজিত রোববার (১৯ জানুয়ারি) এক বৈঠকে এ চাহিদার কথা তুলে ধরে বাহিনীটি। রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিনিধি, গোয়েন্দা প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এতে নির্বাচনে সার্বিক অবস্থা ও করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়।

আনসারের জেলা কমান্ডেন্ট আফজাল হোসেন বলেন, 'দুই সিটির প্রায় আড়াই হাজার ভোটকেন্দ্রে আনসার ও ভিডিপি নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবেন। এজন্য ৫ হাজার শর্টগান ও ৫০ হাজার কার্টিজ (গুলি) ইস্যু করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, গত সিটি নির্বাচনে প্রতি ভোটকেন্দ্রে ১৪ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। এবার কতজন করে রাখা হবে সেটি আগে থেকে জানালে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া যেতো।

ডিএমপির ডিসি অপারেশন্স প্রবীর কুমার রায় বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা চলছে। পুলিশকে যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে, তা তারা যথাযথভাবে পালন করবেন।

বিজিবির মেজর করিম বলেন, মানসিকভাবে বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে। নির্দেশনা পেলেই ভোটের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে।

র‌্যাব-১ এর এসপি নাজমুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে র‌্যাব। এখন পর্যন্ত বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

মিরপুর মডেল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু আছে। ইসি থেকে যে নির্দেশনা পাবো, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো।

৬, ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব ভাল। আশা করি ভোটের দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।  

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাবেদ সরকার ব্যানার ও পোস্টারের আকার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, কিছু কিছু পোস্টারের আকার বড় করে ছাপানো হচ্ছে। সেগুলো ব্যানার নাকি পোস্টার তা বোঝা যাচ্ছে না।  এ বিষয়ে তিনি নির্দেশনা প্রয়োজন। কিছু কিছু এলাকায় ছোট ছোট ঘরকে নির্বাচনি ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি তারা ব্যবহার করতে পারেন কি না, সে বিষয়েও নির্দেশনা প্রয়োজন।

ইসির উপসচিব ও ভোটের সমন্বয়ক ফয়সাল কাদির বলেন, একেকটা এলাকায় একাধিক নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। কাউন্সিলর প্রার্থীরা দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে ভোট চাইছে। ভোর থেকেই মাইকিং শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এমনকি মসজিদেও ভোট চাওয়া হচ্ছে। এজন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্যবস্থা নিতে হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম বলেন, আমরা যদি নির্বাচনি আচরণবিধি মানাতে পারি। তাহলে আমরা নিশ্চিত বলতে পারি পয়েলা ফেব্রুয়ারি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারবো। ঢাকা উত্তরে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৯টি অভিযোগ পেয়েছি।  প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার সময় সব প্রার্থী প্রতিজ্ঞাও করেছেন যে তারা আচরণবিধি মেনে চলবেন। সবাই বলতেছে এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ ভালো আছে। এটা আমাদের জন্য একটি ভালো দিক। আর বাকি যে কয়টা দিন আছে, নির্বাচনী আচরণবিধি মানাতে পারি তাহলে ৯৯ ভাগ সফল হবে।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
ইইউডি/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।