ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইভিএম মেশিন ছিনতাই হলেও সমস্যা নেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
ইভিএম মেশিন ছিনতাই হলেও সমস্যা নেই

ঢাকা: নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ছিনতাই হলেও কোনো সমস্যা নেই। সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ছাড়া এই মেশিন ছিনতাইকারীরা হ্যান্ডেল করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকে বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নির্বাচনে ইভিএম'র ব্যবহার বাস্তবায়ন করছে ইসির এনআইডি বিভাগ।

ব্রিগেডিয়ার সাইদুল বলেন, রংপুরে ২০১৭ সালে প্রথমবার ইভিএম ব্যবহার হয়। পরে বিভিন্ন সিটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। নির্ধারিত সময়ের আগে মেশিনটি খোলা সম্ভব নয়। কারণ এটি পাসওয়ার্ড প্রোটেকটেড। আর ভোটের দিন সকাল ৭টার আগে খোলা যাবে না। অনুমোদিত কর্মকর্তা ছাড়া এটি খোলা সম্ভব নয়। ফলে মেশিন ছিনতাই হওয়ার সম্ভাবনা নেই, মেশিন ছিনতাই হলেও সমস্যা নেই। যে রিজার্ভ মেশিন থাকবে তা দিয়ে ভোট কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবো।  

এছাড়া সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ছাড়া এই মেশিন ছিনতাইকারীরা হ্যান্ডেল করতে পারবে না।

তিনি বলেন, ইভিএম মেশিন খোলার ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন এবং ব্যক্তির উপস্থিতি বাধ্যতামূলক, বিধায় কেন্দ্র দখল করেও কোনো লাভ নেই। কারণ এক ব্যক্তি আরেকজনের ভোট দিতে পারবেন না। কেউ দ্বিতীবার ভোট দিতে চাইলে মেশিন সয়ংক্রিয়ভাবে বলে দেবে আপনি আগে ভোট দিয়েছেন, যেটি পোলিং এজেন্টও দেখতে পারবেন।

এনাইডি মহাপরিচালক বলেন, ২০১১ সালে যে ইভিএম মেশিন ব্যবহার করেছিলাম সেখানে একজন ব্যক্তিকে ভেরিফাই করার ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু নতুন ইভিএম যেটি ব্যবহার করছি তাতে যেকোনো ব্যক্তিকে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে সার্ভারের মাধ্যমে চিহ্নিত করা সম্ভব। চিহ্নিত করার জন্য যে কয়েকটি পর্যায় রয়েছে তার মধ্যে একজন ব্যক্তিকে চারভাবে চিহ্নিত করতে পারি। চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে ইভিএমে একটি থাকে কন্ট্রোল ইউনিট আরেকটি ব্যালট ইউনিট। সমস্ত প্রকার সফটওয়্যার আপগ্রেড করেছি। সফওয়্যার বাংলাদেশে তৈরি।

তিনি আরও বলেন, ইভিএম মেশিনে ভোটগ্রহণের শুরুতে এজেন্টদের আমরা দেখিয়ে দেই মেশিনে শূন্য ভোট দিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হচ্ছে। ভোট কোন মার্কায় দেওয়া হচ্ছে, মেশিন ঠিক আছে কিনা। তারপর আমরা ভোট গ্রহণ শুরু করি। ভোটের সব কিছু কিন্তু পোলিং কার্ডে সংরক্ষিত রয়েছে। যেকোনো তথ্য যাচাই করতে চাইলে তা করা সম্ভব।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম এবং অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান, মহাপুলিশ পরিদর্শক, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র‌্যাব/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআইয়ের মহাপরিচালক, বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, ঢাকা জেলা প্রশাসক ও ঢাকার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন।

১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।