ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বিন্দুমাত্র বিচলিত হবেন না: ভোটারদের প্রতি ইশরাক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
বিন্দুমাত্র বিচলিত হবেন না: ভোটারদের প্রতি ইশরাক

ঢাকা: রাজধানীর গোপীবাগে নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার ঘটনায় ভোটারদের বিন্দুমাত্র বিচলিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ বাসার নির্বাচনী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের হামলার ঘটনা ন্যক্কারজনক। ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

এটা দেখে নির্বাচন বানচাল করার জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে সরকার। ’

‘আমি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা শান্ত্ব থাকবেন, বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এটা শুধু নির্বাচন বানচাল করার, ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের একটা অপচেষ্টা। এতে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না। আমরা অবশ্যই ভোটারদের আহ্বান জানাবো আপনারা ১ ফেব্রুয়ারি নির্ভয়ে কেন্দ্রে যাবেন, এসব ঘটনায় আপনারা বিন্দুমাত্র বিচলিত হবেন না। ’

এ হামলার কারণে পরবর্তী সময়ে নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো শঙ্কাবোধ করছেন কিনা এমন প্রশ্নে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘একদমই না। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, এর আগেও আমি বলেছি। আমি জীবন দিতে প্রস্তুত। রক্ত ঝরাতে প্রস্তুত। কারণ আমরা জনগণের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে আছি। সেটার জন্য আমি ভয় পাই না। কোনো হামলা ভয় পাই না, আমি নির্বাচনে থাকবো। মরতে হলে আমি মরবো।  আবারও বলছি, সন্ত্রাসীরা আমাকে মারতে এলেও মাঠ ছেড়ে দেবো না। ’

ইশরাক বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণসংযোগ করে বাসায় ফিরছিলাম। ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড লাভলী চৌধুরী ক্যাম্প থেকে আমরা ফিরছিলাম। আকস্মিকভাবে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। তিনজন সাংবাদিক ও ৮ থেকে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। নয়া দিগন্তের সাংবাদিক ইকবাল মজুমদার, সময় টিভির ক্যামেরাম্যান আশরাফুল ইসলাম ও বাংলাভিশনের সিনিয়র ক্যামেরাপারসন উজ্জ্বল দাস আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। আমার ওপরে হামলার আশঙ্কা ছিল, নেতাকর্মীরা আমাকে সুরক্ষিত রেখেছে। ’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আসার সময় কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়, গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছি। আমি একজন মেয়রপ্রার্থী গণসংযোগ করে বাসায় আসছি তখন এ ধরনের একটা হামলা। ’

যখন যে ধরনের হামলা হয়েছে সেসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) লিখিতভাবে জানানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইসি কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। আমি নিজেই একজন প্রার্থীকে থানায় গিয়ে দেখে এসেছি, তার মাথা থেকে রক্ত ঝরছে। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আর কী বলবো! আপনারা জানেন যে বাংলাদেশে এখন কী চলছে। ’

একজন মেয়রপ্রার্থী হিসেবে যে ধরনের নিরাপত্তা পাওয়ার কথা আপনি সে ধরনের পেয়েছেন কিনা- এমন প্রশ্নে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন জানান, কোনো ধরনের নিরাপত্তা পাননি।

পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে তারা এসেছেন। এর আগেও আমি আপনাদের বলেছি কিছু কিছু থানায় কিছু কিছু কর্মকর্তারা আমাদের সাহায্য করেছেন। কামরাঙ্গীরচরে আজকের মতো এরকম একটা ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিল। সেখানে তারা যথেষ্ট পরিমাণ সুরক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু ওয়ারি থানায় ন্যক্কারজনকভাবে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। কাউন্সিলর প্রার্থীর ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, আরেকজনের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ থানার কর্মকর্তা কোন কিছুর পরোয়া করেন না। এখানে আমরা একটা ডিফারেন্স দেখতে পাচ্ছি। দু’একজন সাহায্য করেছে। কিন্তু আবার কেউ কেউ দলীয় ভূমিকা পালন করছেন। ’

এ ঘটনায় কোনো মামলা করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই মামলা করবো। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এতগুলো মানুষ আহত হয়েছেন, গণমাধ্যমের ভাইয়েরা আহত হয়েছেন। মামলা তো করবোই। ’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
এমএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।