ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

আঙুলের ছাপ না মেলায় ফিরে যাচ্ছেন ভোটাররা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২০
আঙুলের ছাপ না মেলায় ফিরে যাচ্ছেন ভোটাররা

ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের আঙুলের ছাপ না মিললে ফিরিয়ে দিচ্ছেন প্রিজাইডিং অফিসাররা। নির্বাচনী কয়েকটি এলাকায় আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট না দিয়েই ফিরে যেতে দেখা গেছে কিছু ভোটারকে। 

ভোটাররা অভিযোগ করে বলেন, ভোটার তালিকায় নাম আছে। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট দিতে গিয়ে আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারলাম না।

কয়েকবার চেষ্টা করা হয়। তারপরও ভোট দিতে পারিনি।
 
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার, ফরাশগঞ্জ, গেণ্ডারিয়া, সূত্রাপুর, ফরিদাবাদ, মতিঝিল, কমলাপুর ও নিউমার্কেট এলাকায় ভোটকেন্দ্রগুলোতে শতকরা এক শতাংশ এ ধরনের সমস্যায় পড়েছেন।  

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিউমার্কেট এলাকার আইয়ুব আলী কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার রেজাউল হক বাংলানিউজকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ এক শতাংশ ভোটারের আঙুলের ছাপ না মিললে প্রিজাইডিং অফিসারের সহযোগিতায় এক শতাংশ ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ কেন্দ্রে এক শতাংশের বেশি ভোটারের আঙুলের ছাপ না মেলায় তারা ভোট দিতে পারছেন না। ফলে তাদের বাধ্য হয়ে ভোট না দিয়ে ফেরত যেতে হচ্ছে। এখানে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চার/পাঁচজন ভোটার ফেরত গেছেন।  

তিনি বলেন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৪১ নম্বর কেন্দ্রে সুষ্ঠু, সুন্দর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। মোট ভোটার ২ হাজার ১৫৬ জন। এরমধ্যে ১ হাজার ৮০৯ জন পুরুষ ও ৩৪৭ জন নারী। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত প্রায় ৩০০টির মতো ভোট পড়েছে।  

নিউমার্কেট এলাকার সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনিস্টিউটের প্রিজাইডিং অফিসার পার্থ প্রতীম সাহা বাংলানিউজকে বলেন, ৩৩৯ নম্বর কেন্দ্রের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ১ হাজার ৮৭৫ জন ভোটার। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত পাঁচটি বুথে প্রায় ৩০০টি ভোট পড়েছে। আঙুলের ছাপ না মেলায় এ কেন্দ্র থেকে এ পর্যন্ত চারজনকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। এখন যাদের আঙুলের ছাপ মিলছে না তাদের ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকছে না। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের সহযোগিতায় এক শতাংশের বেশি ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। এর বেশি হলে ইসির অনুমতি নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার তাদের ভোট দিতে সহায়তা করতে পারবেন। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।

কমলাপুর বিআরটিসি বাস ডিপোর প্রিজাইডিং অফিসার মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের এ কেন্দ্রে সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আঙুলের ছাপ না মেলায় তিন/চারজন ভোটারকে ফেরত দিয়েছি। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ২৫ জন। প্রায় ৩২০টির মতো ভোট পড়েছে।  

ভোট না দিতে পেরে আভিযোগ করে কমলাপুর বিআরটিসি বাস ডিপো কেন্দ্রের ভোটার হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমি কয়েকবার চেষ্টা করার পরও ভোট দিতে পারিনি। কারণ আমার আঙুলের ছাপ মেলেনি। কর্মকর্তারা অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।  

৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের জামিয়া ইসলামিয়া আরবিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রের ভোটার বেনু খান বাংলানিউজকে বলেন, আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারিনি। অফিসাররা কয়েকবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কোনো লাভ না হওয়ায় আমাকে পরে আসতে বলেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
জিসিজি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।