ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রুবেল, বাহার, সাইফুদ্দিনসহ ৯ জনের জামানত বাতিল

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০
রুবেল, বাহার, সাইফুদ্দিনসহ ৯ জনের জামানত বাতিল

ঢাকা: সদ্য সমাপ্ত ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে নয়টি রাজনৈতিক দলের ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এসব প্রার্থীদের মধ্যে সাতটি দলের নয়জনের জামানত বাতিল হয়েছে।
 

দুই সিটি ভোটের রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালায় নির্ধারিত ভোট সংখ্যার চেয়ে কম ভোট পাওয়ায় নয়জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।
 
সিটি নির্বাচনের ৪৪ (৩) বিধিতে বলা হয়েছে- ভোটগ্রহণ বা ভোটগণনা সমাপ্ত হওয়ার পর যদি দেখা যায় যে, কোনো প্রার্থী সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়ে কম ভোট পেয়েছেন, তাহলে ওই প্রার্থীর জামানতের টাকা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে।


 
ডিএনসিসি
ঢাকা উত্তর সিটিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ছয়টি দল অংশগ্রহণ করে। এ সিটিতে ভোটার রয়েছেন ৩০ লাখ ১২ হাজার ৫০৯ জন। নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৭ লাখ ৬২ হাজার ১৮৮ ভোটার। যার আট ভাগের এক ভাগ হলো ৯৫ হাজার ২৭৪ ভোট।
 
ভোটের ফলাফল শিট থেকে জানা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১১ ভোট। আর প্রতিদ্বন্দ্বী তাবিথ আউয়াল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৬১ ভোট।
 
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র প্রার্থী শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ হাতপাখা মার্কায় পেয়েছেন ২৮ হাজার ২০০ ভোট। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আহাম্মদ সাজেদুল হক রুবেল কাস্তে প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ১২২ ভোট। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকে মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৫৩ ভোট ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির প্রার্থী শাহীন খান ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১১১ ভোট।
 
নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম ও বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ছাড়া আর কোনো প্রার্থীই প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের সীমা ছুঁতে পারেনি।
 
ডিএসসিসি
ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সাতটি দল প্রার্থী দিয়েছিল। এ সিটিতে ভোটার রয়েছেন ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৫৯ জন। নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৭ লাখ ১৩ হাজার ৫০ ভোটার। এর আট ভাগের এক ভাগ হলো ৮৯ হাজার ১৩১ ভোট।
 
ভোটের ফলাফল শিট থেকে থেকে জানা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যরিস্টার ফজলে নূর তাপস নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৫ ভোট। আর বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫১২ ভোট।
 
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আবদুর রহমান হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫২৫ ভোট। গণফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন মাছ প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭ ভোট। জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৯৩ ভোট। বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৪২১ ভোট ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. বাহারানে সুলতান বাহার আম প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১শ ৫৫ ভোট।
 
এ সিটিতেও নৌকার প্রার্থী তাপস ও ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীই প্রদত্ত ভোটের আটের এক ভাগ ভোটের ঘর ছুঁতে পারেননি।
 
সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ২০ লাখের বেশি ভোটার থাকায় প্রার্থীদের জামানত রাখতে হয়েছিল এক লাখ টাকা। এক্ষেত্রে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র প্রার্থী শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ ও মো. আবদুর রহমান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আহাম্মদ সাজেদুল হক রুবেল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান ও মো. বাহারানে সুলতান বাহার, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির প্রার্থী শাহীন খান, গণফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ এক লাখ টাকা করে জামানত হারিয়েছেন।
 
১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
দুই সিটিতে ১২৯টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৪৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাড়ে সাতশ প্রার্থী। এদের মধ্যে কোন কোন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন তার তালিকা তৈরি করছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার। শিগরগিরই কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যেও জামানত হারানোরদের নাম জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।