ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ভোটে হেরে ইভিএম জটিলতার অভিযোগ আ.লীগ প্রার্থীর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২১
ভোটে হেরে ইভিএম জটিলতার অভিযোগ আ.লীগ প্রার্থীর মিজানুর রশীদ ভূঁইয়া

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভা নির্বাচনে পৌর এলাকায় তিনটি ভোট কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) জটিলতার কারণে ভোটাররা ভোট দিতে না পেরে চলে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান পৌরসভাটির মেয়র মিজানুর রশীদ ভূঁইয়া।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনের তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আক্তারুজ্জামান আক্তার চামচ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে জয় লাভ করেন।  

আক্তারুজ্জামান ৮ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নৌকা প্রতীকে মিজানুর রহমান ভূঁইয়া পান ৮ হাজার ১৮ ভোট। আর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে হারুন-অর-রশিদ পেয়েছেন মাত্র ৮১৭ ভোট।

রোববার (১৭ জানুয়ারি) রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেছেন, পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ড জগন্নাথপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড ইকড়ছই ফাজিল মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলার দক্ষিণ পাশে ও পশ্চিম পাশের কেন্দ্রে ইভিএম জটিলতায় অনেক ভোটার ভোট দিতে পারেনি। অনেক ভোটার ও কেন্দ্রে থাকা আমার এজেন্ট বিষয়টি আমাকে জানালে আমি ফোনে ইভিএম মেশিনের চার্জ না থাকা ও মেশিনের কারিগরি ত্রুটির কথা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তিনি টেকনিশিয়ান পাঠিয়ে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। এর মধ্যে অনেক ভোটার ভোট দিতে না পেরে ফিরে গেছেন। ওই কেন্দ্র তিনটিতে পরবর্তীকালে অনেক ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে পারেননি।  

সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় অনেক নারী ও পুরুষ ভোটার ভোট না দিয়ে বাড়ি চলে যান। এতে করে জগন্নাথপুর পৌর সভা নির্বাচনে সঠিকভাবে মানুষের ভোটের প্রতিফলন ঘটেনি বলে আমি মনে করি। নির্বাচন কমিশন (ইসি) যেহেতু সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনমতের প্রতিফলনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তাই বঞ্চিত ভোটারদের ভোট প্রয়োগের ব্যবস্থা করে দেওয়া কমিশনের দায়িত্ব। তাই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

জগন্নাথপুর পৌর নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। মিজানুর রহমান ভূঁইয়া ছাড়াও কাউন্সিলর এবং আরও মেয়র প্রার্থী নির্বাচন করেছেন, তবে কারও কোনো অভিযোগ পাইনি। রোববার তিনি জটিলতা নিয়ে অভিযোগ করছেন।

তিনি বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে ইভিএম মেশিন দেওয়া ছিল নির্বাচনী কেন্দ্রের প্রতিটা বুথে। এছাড়াও যেকোনো জটিলতা এড়াতে তাৎক্ষিণভাবে সমস্যা সমাধান করতে ইসির টেকনিক্যালটি প্রস্তুত ছিল। আমি ভোটের দিন ২টা পর্যন্ত ওই স্থানে ছিলাম।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।