ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

৬৩ পৌরসভায় ভোট শনিবার, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ৩৭

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২১
৬৩ পৌরসভায় ভোট শনিবার, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ৩৭

ঢাকা: তৃতীয় ধাপে সারাদেশের ৬৩ পৌরসভায় শনিবার (৩০ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ চলবে।

এই ধাপের সবগুলো পৌরসভায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। অনিয়ম ঠেকাতে শনিবার সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
 
ইসির যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান জানান, তৃতীয় ধাপে ৬৩টি পৌরসভায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এই ধাপে ৩৭ জন জনপ্রতিনিধি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এরই মধ্যে ভোটের সব ধরনের প্রচার শেষ হয়েছে। নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
 
এ ধাপের নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। পাশাপাশি মেয়র পদে লড়ছেন বেশকিছু স্বতন্ত্র প্রার্থীও। এ ধাপে মোট ৩৭ জন জনপ্রতিনিধি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে ৩ জন মেয়র, ৯ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও ২৫ জন সাধারণ কাউন্সিলর রয়েছেন।
 
ইসি জানায়, চূড়ান্ত লড়াইয়ে রয়েছেন মোট ৩ হাজার ৩৪৪ জন প্রার্থী। এরমধ্যে মেয়র পদে ২২৯ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৫৫ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৩৬০ জন।
 
ইসি চতুর্থ ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় নির্বাচনের তফসিল দিয়েছিল। ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভায় তৃতীয় ধাপে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও একজন মেয়র প্রার্থীর মৃত্যুতে এ নির্বাচন স্থগিত করে চতুর্থ ধাপে স্থানান্তর করা হয়েছে। ফলে তৃতীয় ধাপে ৬৩ পৌরসভায় নির্বাচন হবে।
 
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, কুমিল্লার লাকসাম ও বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে একক প্রার্থী থাকায় তারা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ধাপে তিন পদে ৩৭ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এরআগে দ্বিতীয় ধাপে পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর একক প্রার্থী হওয়ায় মেয়র পদে চারজন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
 
এদিকে নির্বাচনী পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল শুরু করেছেন। চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে ভোটের পরের দিন পর্যন্ত। সঙ্গে রয়েছে নির্বাহী ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। সকালে ভোটগ্রহণের আগে প্রত্যেক কেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী উপকরণ পাঠাবে ইসি। কমিশনের শেষ মুহূর্তের নির্দেশনায় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে দ্রুত ফলাফল পাঠাতে বলা হয়েছে।
 
এখন পর্যন্ত পাঁচ ধাপে পৌরসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে কমিশন। প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় ২৮ ডিসেম্বর। গত ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় ভোট হয়। আর তৃতীয় ধাপে ৬৩টি পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি ভোট হচ্ছে। চতুর্থ ধাপে ৫৭ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং পঞ্চম ধাপের ৩১ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।
 
আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই পৌরসভার ভোট করতে হয়। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় পৌরসভায়।

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২১
এমআইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।