ঢাকা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের তফসিল রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই ঘোষণা করার কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামতও চাওয়া হয়েছে।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা জানিয়েছে, ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ সর্বশেষ কুসিক নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই বছর ১৭ মে। এক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ করতে হবে আগামী ১৬ মে এর মধ্যে।
কর্মকর্তারা বলছেন, আইনানুযায়ী প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর হয় নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ। এজন্য মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালের ১৬ মে। আর ভোটগ্রহণ করতে হয়, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। এই হিসেবে গত বছর ১৬ নভেম্বর থেকে এ সিটি নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হয়ে গেছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচন নিয়ে কোনো আইনি জটিলতা রয়েছে কিনা, এবং নির্বাচন করা যাবে কিনা, এ সংক্রান্ত মতামত চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় কোনো আপত্তি না জানালে চলতি মাসের শেষের দিকেই হয়ে যেতে পারে তফসিল। এক্ষেত্রে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের প্রথম কমিশন সভায় নির্ধারণ করা হতে পারে ভোটের দিনক্ষণ।
একটি নির্বাচনের জন্য কমপক্ষে ৩৫ দিনের মতো সময়ের প্রয়োজন পড়ে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কম সময় নিয়ে তফসিল দিলে ঈদের ঠিক আগে আগে ভোটারে তারিখ দিতে হবে। আর সময় বেশি নিলে ভোট হবে ঈদের পরে। যেহেতু ১৬ মে পর্যন্ত ভোট করা যাবে, তাই ঈদের পর আরও ১২ দিনের মতো সময় পাওয়া যাবে। কেননা, আগামী ২ অথবা ৩ এপ্রিল থেকে রমজান মাস শুরু হতে পারে। এক্ষেত্রে ঈদ হবে ২ অথবা ৩ মে। সরকারি ছুটি থাকবে ৪ মে পর্যন্ত।
এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব মো. ফরহাদ আহাম্মদ খান বলেন, আমাদের প্রস্তুতি নিতে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে না। হাতে ৪৫ দিন সময় থাকলেই অনেক। তবে, সীমানা জটিলতা নিরসনে হাইকোর্ট রিট হয়েছিল।
এ নিয়ে আইনি জটিলতা এখনো রয়ে গেছে। এজন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, যেহেতু নির্বাচনের জন্য খুব বেশ সময় নেই, তাই চলতি মাসেই কুসিক নির্বাচনের তফসিল দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কমিশনের প্রথম সভায় ঘোষণা আসতে পারে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে। তারা হয়তো দু-একদিনের মধ্যে মতামত পাঠাবে।
২০১৭ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু দ্বিতীয়বারের মতো এ সিটিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই সিটিতে সে সময় ভোট হয়েছিল ১০৩টি কেন্দ্রে। মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন।
২০১১ সালে দুটি পৌরসভাকে একীভূত করে গঠন করা হয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নামে নতুন একটি করপোরেশন। ওই বছরই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০১৭ সালে এসে এ সিটি পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি ইউপিকে অন্তর্ভুক্ত করে আয়তন বাড়ানো হয় প্রায় তিনগুণ। এতে দেখা দেয় সীমানা জটিলতা। কুমিল্লা সিটি করপোরেশ ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২২
ইইউডি/এএটি