ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

দ্বৈত ভোটার হওয়ার প্রবণতার পেছনে ১০ কারণ

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২২
দ্বৈত ভোটার হওয়ার প্রবণতার পেছনে ১০ কারণ

ঢাকা: দ্বৈত ভোটার হওয়ার প্রবণতার পেছনে ১০টি কারণ চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, কারণগুলোর মধ্যে অর্ধেকই প্রায় অসৎ উদ্দেশ্যজনিত।

যে কারণে প্রথম আবেদনটি বহাল রেখে দ্বিতীয়টি বাদ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই শুনানি করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি উপযুক্ত কারণ দর্শাতে না পারলে মামলার সিদ্ধান্তও নিয়েছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এমন প্রতিবেদন উত্থাপন করেছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর।

লিখিত প্রতিবেদনে তিনি জানিয়েছেন, দ্বৈত ভােটার হতে চাওয়ার পেছনে রয়েছে ১০টি কারণ:

১. অজ্ঞতা
২. ভােটার হিসেবে নিবন্ধনের পর এনআইডি কার্ড মুদ্রণ ও বিতরণে দীর্ঘসূত্রতা অর্থাৎ সঠিক সময়ে এনআইডি কার্ড হাতে না পাওয়া।
৩. দ্বৈত ভােটার হওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ- এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রচার প্রচারণার অভাব।
৪. বিবাহজনিত কারণে (নারী ভােটারদের পিত্রালয়ে ভােটার হওয়া এবং পরে স্বামী/শশুর বাড়িতে পুনরায় ভােটার হওয়া)
৫. তালাকপ্রাপ্ত নারীদের ক্ষেত্রে স্বামীর নাম গােপন করে ভােটার হওয়া
৬. ভাসমান ভােটার (Migrated citizens all over the country)

বিভিন্ন অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করা-
৭. বিদেশ গমন
৮. সরকারি চাকরিলাভ
৯. অন্যের সম্পত্তি দখল
১০. অপরাধ সংঘটনের পর তা হতে মুক্তিলাভ

জানা গেছে, দ্বৈত ভোটার রোধ করতে ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। সেই কমিটি দ্বৈত ভোটার হওয়া ব্যক্তির শুনানি করে ইসির কাছে সুপারিশ করবে দায়মুক্তির অথবা মামলা দেওয়ার বিষয়ে। এ বিষয়ে কোনো ব্যক্তি উপযুক্ত কারণ দর্শাতে না পারলে তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার সুপারিশ করার কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২২
ইইউডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।