ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইভিএম নিয়ে ব্যাপক প্রচারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ইসির 

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২
ইভিএম নিয়ে ব্যাপক প্রচারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ইসির 

ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে ব্যাপক প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে সব প্রচার মাধ্যম ছাড়াও হাট-বাজারেও চালানো হবে প্রচারযজ্ঞ।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষণা দিয়েছেন সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এজন্য নতুন প্রকল্প হাতে দুই লাখ নতুন মেশিন কেনার প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয়েছে। এর পাশপাশি ইভিএম সম্পর্কে জনমানুষকে অবহিত করতে নেওয়া হচ্ছে ব্যাপক প্রচারের উদ্যোগ।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, টিভি-পত্রিকা, ইউটিউবে এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা প্রচারে যাবো। এছাড়া স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় এমনকি হাট-বাজারেও প্রচার করবো। গতানুগতিক কোনো প্রচার নয়, ম্যাস আকারে প্রচারে যাবো। ব্যাপক প্রচার হবে যাতে কেউ না বলতে পারে যে ইভিএম সম্পর্কে জানি না।

তিনি আরও বলেন, ইভিএম ব্যবহার হবে। তবে এই মুহূর্তে ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ভোট করার সক্ষমতা আছে। আমরা কতগুলোতে পারবো সেই সক্ষমতা অর্জনের ওপর নির্ভর করবে কত আসনে এই মেশিন ব্যবহার করা হবে। তবে আমাদের ইচ্ছা সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করার। এজন্য নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। যদি নতুন প্রকল্প পাওয়া যায় এবং অন্যান্য সক্ষমতাও অর্জন হয়, তবে কেবল ১৫০ আসনে ব্যবহার সম্ভব।

২০১০ সালে এটিএম শামসুল ‍হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কমিশন দেশে ভোট ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে ইভিএমের সূচনা করে। সে সময় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে এই ভোটযন্ত্র তৈরি করে নেওয়া হয়েছিল।

কয়েক বছর ভালো ফল পাওয়া গেলেও ২০১৫ সালের রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের সময় একটি মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। সেই মেশিনটি আর সারাতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। এমনকি ত্রুটি হওয়ার কারণও উদ্ধার করতে পারেনি।

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৬ সালে এমন পরিস্থিতে বুয়েটের তৈরি মেশিনগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নষ্ট করে ফেলে। একই সঙ্গে নতুন এবং উন্নতমানে ইভিএম তৈরির নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়।

ওই সিদ্ধান্তের আলোকে কেএম নূরুল হুদা কমিশন প্রায় ২০ গুণ বেশি দামে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে অধিকতর উন্নতমানের ইভিএম তৈরি করে নেয়। নতুন ইভিএম দিয়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে প্রথম ভোট নিয়ে সফল হয় নির্বাচন কমিশন। এরপর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন (ছয়টি আসনে) ও অন্যান্য উপ-নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এই মেশিন ব্যবহার করে বিগত কমিশন। বর্তমানে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন ইভিএমের ব্যবহার আরও বাড়াতে চায়। এক্ষেত্রে স্থানীয় নির্বাচনের মতো তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।