ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নেব: ইসি সচিব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নেব: ইসি সচিব ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

ঢাকা: ‘নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে যোগ্যতার ভিত্তিতে পদায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। শূন্যপদ পূরণে কর্মকর্তাদের দাবি যৌক্তিক।



মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

এর আগে, বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে থেকে প্রেষণে পদায়নের পরিববর্তের শূন্য পদ পূরণ ও পদোন্নতির মাধ্যমে পদায়নের দাবি তোলা হয়।

মো. জাহাংগীর আলম বলেন, বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন আছে। তারা একটি মিটিং করেছে। সেই মিটিংয়ে তারা যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছেন সেই সিদ্ধান্তগুলো আমাদেরকে অবহিত করেছেন। সেটা নির্বাচন কমিশনকেও বলেছেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিভাগকেও তারা পর্যায়ক্রমে পাঠাবেন।

তিনি বলেন, প্রথম হচ্ছে যেটি, তাদের যে শূন্যপদ সেই শূন্য পদগুলো পূরণ করা। এক্ষেত্রে আমরা মনে করি, যে পদগুলো শূন্য রয়েছে; যারা যোগ্যতা অর্জন করবেন তাদের চাকরি বিধি-অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নিশ্চয় পদোন্নতি এবং শূন্যপদ পূরণের অবশ্যই উদ্যোগ নেব। এটি যৌক্তিক কথা।

তবে এক্ষেত্রে দুটো বিষয় আপনাদেরকে আমি জানাবো। প্রথমত হচ্ছে, পদশূন্য থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে, যোগ্যতা থাকতে হবে। এই দুটো বিষয় বিবেচনা করে আমরা অবশ্যই কমিশনের মাধ্যমে তাদেরকে তাদের পদোন্নতি বা শূন্যপদ পূরণের জন্য উদ্যোগ নেব।

ইসি সচিব বলেন, ইভিএমের লজিস্টিক ইত্যাদি বিষয়ক দৃশ্যমান করার কথাও বলেছেন তারা। এজন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এখন এটি একনেকে উঠবে। তারপর তারা যেটা অনুমোদন দেবে তখন বলা যাবে। একনেকের অনুমোদনের আগে কোনো কিছু বলাই যৌক্তিক হবে না। এটা আমাদেরই প্রকল্প। যখন একনেক থেকে এটি অনুমোদন হবে, তখনই আমরা বলতে পারব আমাদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে তারা কী দিল আর কী দিল না।  

এছাড়া যে বিষয়টি তারা বলেছেন সাংগঠনিক কাঠামোয় অনেক পদ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সেটা সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এটির কার্যক্রম চলমান আছে। এজন্য যে কমিটি আছে সেখানে আলোচনা হয়েছে। এরপর এটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যাবে। মন্ত্রণালয়ের ভেটিং সাপেক্ষে এটি যাবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পরে সামারি অ্যাপ্রভাল হলে পদগুলোর অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং সময় সাপেক্ষ। এটির কাজ চলছে।

আগামী রোববারের (৪ ডিসেম্বর) দাবিগুলো না মানলে কালো ব্যাজধারণ, কর্মবিরতিতে যাওয়াসহ নানা কর্মসূচি দেবেন কর্মকর্তারা, দাবিগুলো পূরণ করা সম্ভব কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব আরও বলেন, রোববারের মধ্যে, এটা যারা দাবি করেছেন তারাই বলতে পারবেন। তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন রোববারের মধ্যে এটা সম্ভব কিনা। আমি আগেই বলেছি এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাংগীর আলম বলেন, পদগুলো যখন যেভাবে সৃষ্টি হয়েছে সেখানে বলা আছে প্রেষণ অবলিক পদোন্নতি। যতক্ষণ পর্যন্ত পদোন্নতি যোগ্য কর্মকর্তা না পাবেন ততক্ষণ পর্যন্ত প্রেষণে থাকবে। পদ সৃজনই তো হয়েছে ওইভাবে। সুতরাং পদ সৃজনের বাইরে তো কেউ কিছু করছে না। তাদের দাবিগুলোর কিছু কিছু বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। সময় লাগবে।

তিনি আরও বলেন, আমার কাজই হচ্ছে তাদের যে যৌক্তিক দাবিগুলো, সেগুলো সংশ্লিষ্ট জায়গায় উপস্থাপন করা এবং বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেওয়াটা হচ্ছে আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। অবশ্যই তাদের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন>>কর্মবিরতিতে যাওয়ার আল্টিমেটাম ইসি কর্মকর্তাদের

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।