খুলনা: বড় কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, যেমন এক ওয়ার্ডের চার ভোটার অন্য ওয়ার্ডের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
সোমবার (১২ জুন) দুপুরে নগরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ন্যাশনাল গার্লস হাই স্কুল কেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে। শাস্তি প্রাপ্তরা হলেন- আকরাম হোসেন, আব্দুস সামাদ, তাওহীদুল ইসলাম ও মিরাজুল ইসলাম।
জানা গেছে, তাদের আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে আনা হলে বিচারক আকরাম হোসেনকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেন। আব্দুস সামাদ, তাওহীদুল ইসলাম ও মিরাজুল ইসলামকে অন্য এলাকায় প্রবেশ না করার শর্তে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জরিমানা ও মুচলেকা পাওয়া চারজন মূলত নগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার। তারা ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রবেশ করে ভোট কেন্দ্রের সামনে বিশৃঙ্খলা করছিলেন।
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচজন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান (দেয়াল ঘড়ি) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল)।
৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৩২টি ভোট কক্ষে ভোট গ্রহণ চলছে। ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এবারের সিটি নির্বাচনে ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
এমআরএম/এমজে