ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

পৌর নির্বাচন

দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের শপথ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৫
দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের শপথ

বগুড়া: বগুড়া শেরপুর উপজেলায় দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে একসঙ্গে কাজ করছে বিভক্ত হয়ে পড়া বিএনপির দুটি গ্রুপ।

নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রতি দুটি গ্রুপ একত্রিত হয়।

এমনকি তাদের একসঙ্গে ভোটারদের কাছে যেতেও দেখা যাচ্ছে। নিজ দলের প্রার্থীকে জেতাতে হণ্যে হয়ে ঘুরছেন ভোটারের দুয়ারে দুয়ারে। আজ কয়েকদিন ধরে এমন চিত্রই দেখা যাচ্ছে শেরপুর উপজেলায়।  

বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থীর জয়লাভ ও বিএনপির প্রার্থীর হেরে যাওয়ায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলা বিএনপি দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে। সেই থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে আভ্যন্তরীণ কোন্দল চলে আসছিল। স্থবির হয়ে পড়েছিল দলীয় কর্মকাণ্ড। নেতাকর্মীরাও হতাশ হয়ে পড়েন। অনেকেই দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন।
 
কিন্তু আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে দুই শিবিরই নতুন হিসাব নিকাশে ব্যস্ত। কিভাবে দলের কোন্দল মিটিয়ে পৌর নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করা যায় -এমন ভাবনায় আগের হিসেব পাল্টে ফেলেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। কেননা দেশে প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন হচ্ছে। তাই দলীয় মেয়র প্রার্থীকে জেতাতে এককাট্টা হয়েছেন নেতাকর্মীরা। ভুলে গেছেন অতীতের সব ভেদাভেদ।
 
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজন করা হয় যৌথ সভার। সভা থেকে দলীয় মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র ও পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক স্বাধীন কুমার কুণ্ডুর পক্ষে একাট্টা হয়ে কাজ করার শপথ নেন নেতাকর্মীরা। এরপর থেকেই তারা বেড়িয়ে পড়েন ভোটারদের কাছে।  
 
পৌর বিএনপির সভাপতি বিএইচএম কামরুজ্জামান রাফুর সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জানে আলম খোকা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কেএম মাহবুবার রহমান হারেজ, বিএনপি নেতা পিয়ার হোসেন পিয়ার, শাহ আলম পান্না, আব্দুল বারী, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, হাসানুল মারুফ শিমুল, আশরাফুল আলম, মির্জা নজরুল ইসলাম, যুবদল নেতা শাহাবুল করিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
 
সভায় উপজেলা ও পৌর বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
 
দলীয় সূত্র জানায়, পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়াকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের আভ্যন্তরীণ কোন্দল আরও প্রকট হয়ে ওঠে। এই পৌরসভায় মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চান যথাক্রমে বর্তমান মেয়র ও পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক স্বাধীন কুমার কুণ্ডু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম পান্না ও উপজেলা বিএনপির নেতা আশরাফুল আলম।
 
কিন্তু দলের মনোনয়ন বোর্ড মেয়র পদে স্বাধীন কুমার কুণ্ডুকে দলীয় মনোনয়ন দেন। এই নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যা মেটাতে যৌথ সভার আয়োজন করা হয়। সভা থেকে সব কোন্দল মিটিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার শপথ নেন নেতাকর্মীরা।
 
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জানে আলম খোকা ও সদস্য সচিব পিয়ার হোসেন পিয়ার জানান, এই উপজেলায় দলের মধ্যে কোনো কোন্দল নেই। নেতাকর্মীরাও দুই শিবিরে বিভক্ত নয়। ধানের শীষের প্রতীকধারী দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করাই এখন তাদের একমাত্র লক্ষ্য।
 
মেয়র প্রার্থী স্বাধীন কুমার কুণ্ডু জানান, দলের সব নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। দলের নেতাকর্মীরা ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে আনতে নির্বাচনী মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়বেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫
এমবিএইচ/বিএস  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।