ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন

পাইকগাছার ওসির অপসারণ দাবি বিএনপির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
পাইকগাছার ওসির অপসারণ দাবি বিএনপির ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির সমন্বয়ে গঠিত আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন সমন্বয় কমিটির নেতারা পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামানের অপসারণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে সমন্বয় কমিটির প্রধান ও মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম মনার নেতৃত্বে সমন্বয় কমিটির নেতারা খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মোস্তফা কামালের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।



ওসির অপসারণসহ সরকারি দলের নেতাকর্মীরা বিএনপির নির্বাচনী অফিস দখল, জঙ্গিতত্ত্ব দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি, অর্থ আদায় ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মোবাইল ফোনে এমনকি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করা থেকে বিরত থাকার হুমকি প্রদর্শনের ঘটনার প্রতিকার চাওয়া হয়েছে স্মারকলিপিতে।

একই অভিযোগে প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে ফ্যাক্সবার্তাও প্রেরণ করেছেন তারা।

স্মারকলিপি ও ফ্যাক্সবার্তায় নেতারা উল্লেখ করেন, পাইকগাছার থানার ওসি মেয়র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও জেলা বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. আব্দুল মজিদ, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ, খুলনা জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মনিরুজ্জামান মন্টু ও খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু হোসেন বাবুকে নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে বলেন। অন্যথায় তাদের গ্রেফতার করা হবে।

গত ১৯ ডিসেম্বর পাইকগাছা থানার সরল বাজার এলাকায় বিএনপির প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে স্থানীয় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা দখল করে নেয়। ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বিএনপিপন্থি ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় না আসার জন্য পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা প্রকাশ্যে ও মোবাইলে হুমকি দেন।

১৭ ডিসেম্বর বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ডা. আব্দুল মজিদের বাড়ি পুলিশ ঘেরাও করে এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে হুমকি-ধামকি দিয়ে বলে যে, এই বাড়িতে জঙ্গিদের নিয়ে মিটিং করা হচ্ছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পৌর নির্বাচনকে প্রভাবিত ও ভীতি সৃষ্টি করার জন্য বেপরোয়া হুমকি দিচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা ফখরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আব্দুর রশিদ, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেজবাউল আলম, আজিজুল হাসান দুলু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা,  ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
এমআরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।