ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

দিনাজপুর থেকে জনি হক

হিমালয়ের পাদদেশে ভোটের হাওয়া

জনি হক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৫
হিমালয়ের পাদদেশে ভোটের হাওয়া

দিনাজপুর থেকে: পঞ্চগড় থেকে বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে দিনাজপুর বাস টার্মিনালে নামতেই কানে ভেসে এলো- ‘একটাই মার্কা, ... মার্কা’ শ্লোগান। মাইকে নয়, টার্মিনালের একপাশে পান দোকানের সামনে জটলা বেঁধে তরুণ ও মধ্য বয়সীরা প্রার্থীর গুণগান করছেন।

কিছুদূর যাওয়ার পথে মহারাজা গিরিজান নামক জায়গা থেকে শুরু, এরপর শুধু প্রার্থীদের পোস্টার আর পোস্টার। বঙ্গবন্ধু চত্বরের ওপরও ঝুলছে সেগুলো।
 
দুপুরে ঐতিহাসিক রামসাগর পার্ক ঘোরার পর চেরাডাঙি মাঠে বাজছিলো জেমসের গান- ‘তুমি মিশ্রিত লগ্ন মাধুরীর জলে ভেজা কবিতায়’। সড়ক থেকেই দূরে বাজতে থাকা গানটা শোনা গেছে পরিষ্কারভাবেই। এই মাঠে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী চেরাডাঙি মেলা। এই আয়োজনে অংশ নেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। ফেরার পথে গোর-এ-শহীদ বড় ময়দান দেখে বোঝা গেলো কুয়াশা ধীরে ধীরে মুড়িয়ে নিচ্ছে শহরটাকে।
 
দলীয় প্রতীক ব্যবহারের সুযোগ থাকায় পঞ্চগড়ের মতো দিনাজপুরেও সব প্রার্থীর মার্কা দেখা গেলো একই। বাংলানিউজের দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি মাহিদুল ইসলাম রিপন জানালেন, এখানে মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচজন। দিনাজপুরে পৌরসভা পাঁচটি। শুধু দিনাজপুর সদরেই ওয়ার্ড ১২টি। সবখানে সাধারণ মানুষের আগ্রহ তুলনামূলকভাবে কম। অনেকের কাছে ভোট একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র! ভোটে উৎসবের যে আমেজ থাকে তা অনেকটাই অনুপস্থিত দিনাজপুর সদরে।

শহরটির বিভিন্ন প্রান্তে হেঁটে, অটোতে চড়ে দেখা গেলো প্রার্থীদের নির্বাচনীয় কার্যালয়। সংখ্যাটা চোখে পড়ার মতো। একজন প্রার্থীর কার্যালয়ে আবার তারই দুই ধরনের পোস্টার চোখে পড়লো। পঞ্চগড়ে যেমন শুধু রিকশায় মাইকিং হচ্ছে, দিনাজপুরে অটোতেই বাজানো হচ্ছে প্রার্থীদের শ্লোগান।

সন্ধ্যায় দিনাজপুর জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ পথসভায় মনে করিয়ে দিলেন, এবারই প্রথম দলীয় প্রতীক নিয়ে হতে যাচ্ছে পৌরসভা নির্বাচন। তাই এটা একটা নতুন ইতিহাস। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও এভাবেই স্থানীয় নির্বাচন হয়ে থাকে।
 
বলাবাহুল্য দিনাজপুরের অবস্থান হিমালয়ের পাদদেশে। আর ভারতের দশটি রাজ্য পড়েছে হিমালয় অঞ্চলে। পথসভায় দুই দেশের নির্বাচনের যোগসাজশ তুলে ধরতে শুনে তথ্যটা সামনে এলো। একপাশে হিমালয় থাকার কারণেই জেলা শহরটিতে শীতের প্রকোপ বেশি। নির্বাচনী হাওয়া আর ভোটের উত্তাপে দিনভর তা ম্লান হয়ে থাকছে। থাকবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচন পর্যন্ত।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৫
জেএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।