ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

বদরগঞ্জ থেকে জনি হক

আবাদি জমিতেও পোস্টার, ছেয়ে গেছে প্ল্যাটফর্মও

জনি হক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
আবাদি জমিতেও পোস্টার, ছেয়ে গেছে প্ল্যাটফর্মও ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বদরগঞ্জ (রংপুর) থেকে: উপজেলার বালুয়াভাটা এলাকার কবরস্থান সংলগ্ন আবাদি জমিতে গাছের সঙ্গে রশি বেঁধে পোস্টার ঝোলাচ্ছেন কয়েক তরুণ। দৃশ্যটা কৌতূহল জাগানিয়া।

কারণ পঞ্চগড় ও দিনাজপুরের কোথাও এমন দৃশ্য চোখে পড়েনি।

শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এই অভিজ্ঞতা হলো। তরুণরা মনের আনন্দেই পোস্টার ঝুলিয়ে রাখছেন। জমিটি থেকে বিএনপি সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী অধ্যাপক পরিতোষ চক্রবর্তীর বাড়ি পায়ে হাঁটা দূরত্বে। এই পথ দিয়ে চলাফেরা করা ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই তাদের এই অভিনব পন্থা।
 
এদিকে বদরগঞ্জ রেল স্টেশন ছেয়ে গেছে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টারে। বলা যায়, নির্বাচনের পোস্টারে ঢেকে গেছে গোটা প্লাটফর্ম। যেদিকে তাকানো যায়, শুধু পোস্টার আর পোস্টার। অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত উত্তম সাহা, স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আজিজুল হক, জাতীয় পার্টি সমর্থিত লাতিফুল খাবীর ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুল বাকী’র পোস্টার বেশি।

নৌকা, ধানের শীষ, হাতপাখা, নারিকেল গাছ, লাঙল প্রতীকের পোস্টারের দিকে ট্রেন যাত্রীদেরও নজর। প্লাটফর্মে পোস্টারের বন্যা দেখে তাদের উৎফুল্লই মনে হলো। অসংখ্য পোস্টার একসঙ্গে ঝুলে থাকাটাকে একটা উৎসব-উৎসব ব্যাপার হিসেবে নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ!

বাংলানিউজের বিভাগীয় স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সাইফুর রহমান রানার সঙ্গে স্টেশন রোড থেকে উপজেলা পরিষদের দিকে যেতে দেখলাম রিকশায় মাইক বাজিয়ে এক প্রার্থীর পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন চাষী মহসিন। বৃহস্পতিবারই এ দায়িত্ব পালন করতে পথে নেমেছেন তিনি। গতবারের সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো এ কাজ করতে দেখা গেছে তাকে। ওইবার দৈনিক ৫০ টাকা পেতেন খাওয়ার জন্য, সঙ্গে মজুরি মিলতো ২০০ টাকা করে। এবারের পারিশ্রমিকও একই কিনা- জানতে চাইলে তার উত্তর, ‘এখনও জানি না। ওই রকমই দেবে হয়তো। যা দেবে তাতেই আমি খুশি। নির্বাচনের সঙ্গে থাকতে পারছি, এটাই আলাদা একটা আনন্দের ব্যাপার। ’
 
রিকশার পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায়ও চলছে মাইকিং। যার যার প্রচারণায় তার তার পোস্টার নিয়ে চলছে অটো। শাহাপুর, উপজেলা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, থানা রোডও ছেয়ে গেছে পোস্টারে। বিকেলে হক সাহেবের মোড়ে এক কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর মিছিল গেলো। যেতে যেতে জনগণের সঙ্গে হাত মেলালেন প্রার্থী।

সন্ধ্যা গড়াতেই বাড়লো শীতের তীব্রতা। কিন্তু নির্বাচনের উত্তাপে সেটাকে থোড়াই কেয়ার করে পথসভায় ব্যস্ত হলেন প্রার্থীরা। মিছিলে গা ভাসালেন তাদের সমর্থকরা। হাততালিতেও মাতলেন। নির্বাচনকে ঘিরে গোটা বদরগঞ্জই এখন জমজমাট।

বাংলাদেশ সময় : ০১০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৫
জেএইচ/আরএম

** আলোছায়া নেই, ছায়াছন্দ আছে না থাকার মতো

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।