ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

নির্বাচন

গাইবান্ধা থেকে নুরুল আমিন ও কাশেম হারুন

অনিয়মের অভিযোগ নেই, দাবি পুলিশ সুপারের

নুরুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
অনিয়মের অভিযোগ নেই, দাবি পুলিশ সুপারের ছবি: কাশেম হারুন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গাইবান্ধা থেকে: গাইবান্ধার তিনটি পৌরসভার ৫২টি ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে দাবি করে জেলার পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ভোটার ও প্রার্থীদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে তার সঙ্গে আলাপ হচ্ছিল বাংলানিউজের।

পুলিশ সুপার বলেন,  গাইবান্ধার ৫২টি ভোট কেন্দ্রের ৪৭টি ঝুঁকিপূর্ণ। সে বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

গোবিন্দগঞ্জের চারটি ভোটকেন্দ্রে কারচুপি হচ্ছে বলে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ফারুক আহমেদ ও ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থী মতিন মোল্লা অভিযোগ তুললেও এ বিষয়ে পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম বলেন, এমন কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। যে কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এদিকে, এ পৌরসভা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী আখতার হোসেন জুয়েল ভোট বর্জনের চিঠি জমা দিলেও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম। তবে তিনি জানান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী জুয়েল তার কাছে ভোট বর্জনের আবেদন করেছেন।

অন্যদিকে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে জানান, ভোটাররা যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে থাকছে অতিরিক্ত নজরদারি। সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের স্টাইকিং ফোর্স। ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিও।

গাইবান্ধার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামছুল আজম বাংলানিউজকে বলেন, গাইবান্ধার ৫২ কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ  চলছে।   যাবতীয় ঝুঁকি বিবেচনায় রেখেই সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।   ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট  দিতে গিয়ে যেন কোনো বাধার সম্মুখীন না হন, সেজন্য প্রতিটি কেন্দ্রে মোতায়েন রাখা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি সদস্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০,২০১৫
এনএ/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।