ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

পৌর নির্বাচন

ভোটের মেলা চারঘাটের থানাপাড়ায়

শরীফ সুমন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
ভোটের মেলা চারঘাটের থানাপাড়ায় ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চারঘাট (রাজশাহী) পৌরসভা থেকে : ভোটের আগে নানান গুজব আর আতঙ্কের কথা শোনা যাচ্ছিল। ভেবেছিলাম ভোট দিতে গিয়ে আবার কোন বিপদে পড়ি।

কিন্তু না আসলে বুঝতেই পারতাম না এখানে ভোটের মেলা বসেছে। এলাম, ভোট দিলাম, ভুলটাকে শুদ্ধ করে গেলাম। ’

উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেওয়ার পর বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে এভাবেই নিজের অভিপ্রায় ব্যক্ত করছিলেন রাজশাহী শহর থেকে চারঘাটে এলাকায় ভোট দিতে আসা গৃহিনী সাবিনা ইয়াসমিন মনি।

শহরে থাকলেও ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা তিনি। চারঘাট পৌরসভার থানাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিয়ে বের হওয়ার পর কথা হয় তার সঙ্গে।


সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পেরে মহাখুশি এই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুর রহমান। জানান তার আনন্দের কথা।

ভোট উপলক্ষে রাস্তার পাশে বসা চায়ের দোকানে হাতের অমোচনীয় কালির দাগ দেখিয়ে একরামুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, 'নিরাপদে ভোট দিলাম। তাতেই ভালো লাগছে। কতজন কতো কথা বলে কিন্তু সত্যি বলতে গ্রাম বাংলার মানুষ ভোট পাগল। নাশকতা হবে, সহিংসতা হবে, আগে থেকে এমন অপপ্রচার চালেয়ে আর মানুষকে ঘরে আটকিয়ে রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

থানাপাড়ার রাশেদুল ইসলাম নামের অপর ভোটার বলেন, 'এমনিতেই ভোট শান্তিপূর্ণ। তার উপর পৌরসভার থানাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রেকর্ড আছে স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত যত ভোট হয়েছে, কোনো ভোটেই গণ্ডগোল হয়নি এখানে। তাই ভোট এলেই উৎসব শুরু হয় থানাপাড়ায়। '

এদিকে, ওই এলাকার আশপাশ ঘুরে দেখা যায়, সত্যিই যেন মেলা বসেছে চারঘাটের থানাপাড়ায়। রাস্তায় বিছানো হয়েছে ইটের খোয়া । দু'ধারে বসানো হয়েছে রকমারি খাবারের দোকানও।

কেউ খড়ির চুলোয় কড়ইয়ে গরম তেলে সিঙ্গারা ভাঁজছেন। আবার কেউ বিক্রি করছেন বাদাম। কেউ ক্রেতাকে জিলাপি দিচ্ছেন কাগজে মুড়ে। রয়েছে প্রিয় গ্রামীণ খাবার বাতাসা, খাগড়াই, মুড়কি আর মতিচুরের লাড্ড্সুহ নানান খাবারের আয়োজনও বাদ যায়নি। তাই যে কেউ বাইরে থেকে এখানে এলে ভাবতেই পারেন ভোট নয়, আনন্দের মেলা বসেছে থানাপাড়ায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এসএস/এমআইকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।