ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন

ইউপি নির্বাচন

মধ্যরাত থেকেই মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৬
মধ্যরাত থেকেই মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ

ঢাকা: দেশের ৬২১ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন আগামী ২৩ এপ্রিল। এসব এলাকায় সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বুধবার (২০ এপ্রিল) মধ্যরাত ১২টা থেকে মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এদিকে অন্য মোটরযান এবং ইঞ্জিনচালিত নৌযান চলাচলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়কেও নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।

ইসির উপ-সচিব মো. সামসুল আলম বাংলানিউজকে জানান, মোটরসাইকেল চলাচলসহ অন্যান্য মোটরযান চলাচল বন্ধের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এক্ষেত্রে বুধবার মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৩ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত চার দিনের জন্য নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এছাড়া ২২ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৩ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ১ দিনের জন্য নির্বাচনী এলাকায় বেবিট্যাক্সি, অটোরিকশা, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক ও টেম্পো চলাচলও বন্ধ থাকবে।

এক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রার্থী বা তার এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক, নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও বৈধ পরিদর্শক ওইসব যান ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া জরুরি হিসেবে- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমের জন্য উক্ত যানবাহন ব্যবহার করা যাবে। আবার জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

অন্যদিকে লঞ্চ, স্পিডবোটসহ যেকোনো ধরনের ইঞ্জিন চালিত নৌযান চলাচলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি। এ নিষেধাজ্ঞাও থাকবে ২২ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ২৩ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত। এক্ষেত্রে জরুরি পণ্য সরবরাহ অথবা ভোটার বা জনগণের চলাচলের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হবে না।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে বন্ধ হবে সব ধরনের প্রচার প্রচারণা।

তৃতীয় ধাপে এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ২ হাজার ৯৯২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে মোট ১৪টি রাজনৈতিক দল ১ হাজার ৫৪৩ জন প্রার্থী দিয়েছে। অবশিষ্ট ১ হাজার ৪৪৯ জন প্রার্থী স্বতন্ত্র থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৬২১ জন, বিএনপি ৫৭৫ জন, জাতীয় পার্টি ১৮৪ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ২৮ জন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ১৪ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৯৩ জন, জাতীয় পার্টি-জেপি ২ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ১ জন, খেলাফত মজলিস ৪ জন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ১ জন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ৩ জন, ইসলামী ঐক্যজোট ৩ জন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ১৩ জন ও অন্যান্য ১ জন প্রার্থী দিয়েছে।

এবার ছয় ধাপে দেশের সাড়ে চার হাজার ইউপিতে ভোটগ্রহণ করছে ইসি। আগামী ৭ মে চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। এরপর পঞ্চম ও ষষ্ঠ ধাপের ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে ৪ জুন ইউপি নির্বাচন সমাপ্ত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৬
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।