বগুড়া (শেরপুর) থেকে: প্রখর রোদ। শরীর চুয়ে ঘাম পড়ছে।
কিন্তু লাইনে দাঁড়ানো মানুষের সংখ্যা কমতেই চাইছে না। যে সংখ্যক মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন তার চেয়ে বেশি সংখ্যক ভোটার লাইনে যুক্ত হচ্ছেন। এতে লাইন ছোট হয়ে আসার চেয়ে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারের উপস্থিতি বেড়েই চলছে।
তবে কেন্দ্রগুলোতে পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। সবমিলে ভোটের দৌড়ে নারীরা এগিয়ে রয়েছেন।
শনিবার (৭ মে) বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে এমনই দৃশ্য উঠে আসে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রোদের তীব্রতা উপেক্ষা করে কেন্দ্রগুলোতে ছিলো নারীদের উপচে পড়া ভিড়। প্রত্যেকেই আগে ভোট দেওয়ার চেষ্টায় রীতিমতো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু এক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তারা বিশৃঙ্খলারোধে কঠোর। কেউ কোনোভাবে এলোমেলো হওয়ার চেষ্টা করলেই তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ করেন ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
রাবেয়া, সালমা, আছিয়াসহ একাধিক নারী ভোটার বাংলানিউজকে জানান, আগে ভোট দেওয়ার জন্য শুক্রবার (৬ মে) থেকে প্রস্তুতি নেন তারা। সে অনুযায়ী ভোরে সাংসারিক কাজ সম্পন্ন করেছেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই তারা কেন্দ্রে এসে দাঁড়িয়েছেন লাইনে। কিন্তু একসঙ্গে বেশি ভোটারের উপস্থিতির কারণে আগে এসেও তারা তেমন সুবিধা করতে পারেননি। ফলে রোদে পুড়ে লাইনে দাঁড়িয়েই তাদের ভোট দিতে হচ্ছে।
মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্ব নিয়োজিত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা শাহ মো. জুলফিকার আলী বাংলানিউজকে জানান, এ কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ হাজার ৯০৫ জন। বুথের সংখ্যা ৮টি। কিন্তু সকাল থেকেই ভোটারের চাপ বেশি। সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রায় ৬৫০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
কাশিয়াবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আর এম ফিরোজ বাংলানিউজকে জানান, এ কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৮০১ জন। বুথের সংখ্যা ৮টি। সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে প্রায় ৭৭৫টি ভোট পড়েছে।
বিরইল শহীদ তোরকানিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এ কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ১৯৪ জন। বুথের সংখ্যা ৭টি। বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রায় ৭০০টি ভোট পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৬
এমবিএইচ/ওএইচ/এএ