রাজশাহী: সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে রাজশাহীর তিন উপজেলার ১৬ ইউনিয়নের বিভিন্নস্থান থেকে বিচ্ছন্ন কিছু ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বিকেল পর্যন্ত শান্তিপূর্ণই ভোট হয়েছে।
শনিবার (০৪ জুন) ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোটগ্রহণ নিয়ে ভোটাররা জানান, নির্বাচনের শুরুতে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের ভালাম এলাকায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল।
একই ইউনিয়নের পারিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঢুকে নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাহিমা বেগমের লোকজন বেশকিছু ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল মারেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি গেলে তার কর্মী সমর্থকরা পালিয়ে যান। তবে কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেননি পবা উপজেলা রিটার্নিং অফিসার।
এক প্রশ্নের জবাবে পবা উপজেলা রিটার্নিং অফিসার সেলিম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ব্যালট পেপারে সিল মারার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাঠানো হয়। তারা গিয়ে কাউকে পায়নি। তবে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সাদিকুল ইসলামকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে- এমন ঘটনা ঘটে থাকলে সিল মারা ব্যালট পেপারগুলো তিনি যেনো বাতিল করে দেন।
এদিকে, রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধুরোইল ইউনিয়নের শিবপুর কেন্দ্রে সকালে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর এজেন্টকে ঢুকতে দেয়নি নৌকা প্রতীকের লোকজন। পরে খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল মাহমুদ সেখানে যান। এ সময় তিনি ওই এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকিয়ে পুলিশ মোতায়েন করেন।
এছাড়া বেলা ১২টার দিকে পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের বেলপাড়া কেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ সমর্থক মেম্বার প্রার্থী সাইদুর রহমান বাদলসহ চার থেকে পাঁচজন আহত হন। ওই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
তবে সার্বিক দিক থেকে আইন-শঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিল বলে দাবি করেছেন রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ। তিনি জানান, সকাল থেকে কঠোর অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ সিহংসতা এড়াতে সতর্ক রয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৬
এসএস/ওএইচ/আইএ