তিনি ১ হাজার ৩শ’ ৩৭ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক ফাহিম উটপাখি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫শ’ ২৮ ভোট।
সোমবার (০৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আব্দুল কাইয়ুম জানান, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে শহরের টাউন কলোনি এজে উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
মোট দুই হাজার ৬শ’৭৭জন ভোটারের মধ্যে এক হাজার ৮শ’ ৮৮জন ভোট দিয়েছেন। মোট ৮টি বুথে ২৬ জন কর্মকর্তা ভোটগ্রহণ করেন।
র্যাব-পুলিশসহ আনসার-ভিডিপির অর্ধশতাধিক সদস্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বপালন করেন। এছাড়া ভোট কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও দায়িত্ব পালন করেন বলেও-যোগ করেন এ কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শেরপুর পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বিজয়ী হন। ২০১৬ সালের ২৬ জুন তার আকস্মিক মৃত্যু হয়। পরে এ ওয়ার্ডটি শূন্য ঘোষণা করে উপ-নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
গত ০১ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৪ফেব্রুয়ারি দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরদিন ১৫ফেব্রুয়ারি যাছাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর মাঝে। এরপর নির্বাচনী মাঠে নামেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৭
এমবিএইচ/ওএইচ/এমজেএফ