সব মিলিয়ে উপজেলা পর্যায়ে ৯৬ জন, জেলা পর্যায়ে ৫৬ জন ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা পদে ০৯ জনকে রদবদল করা হয়েছে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, এ রদবদলে অনেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত জুনিয়র কর্মকর্তাদেরও পদায়ন করা হয়েছে।
জানা গেছে, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল ইসলামকে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার পদে, ইসি’র সচিবের একান্ত সচিব মো. মঈন উদ্দিন খানকে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র সহকারী সচিব সাবেদ উর রহমানকে ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার পদে ও নড়াইলের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সেখ আনোয়ার হোসেনকে সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার পদে পদায়ন করা হয়েছে।
এছাড়া কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডলকে ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, রাজশাহীর সুভাষ চন্দ্র সরকারকে রংপুরে, সিলেটের এসএম এজহারুল ইসলামকে কুমিল্লায়, খুলনার মুজিবুর রহমানকে বরিশালে ও ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুককে খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা পদে বদলি করা হয়েছে। তারা সবাই চলতি দায়িত্বে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার পদে রয়েছেন।
ইসি’র সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, একটানা তিন বছর পর পর রদবদল করার নিয়ম আছে। আর প্রত্যন্ত অঞ্চল হলে দুই বছর পরেই বদলির নিয়ম। আবার সাম্প্রতিক সময়ে যারা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের এখনই সে পদে দেওয়া নীতিসিদ্ধ নয়।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই এ বদলি বা রদবদল করা হয়েছে।
ইসি’র কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে আর ছয়মাস পরেই শুরু হবে সংসদ নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ। তাই এ রদবদলকে অনেকেই নির্বাচনী রদবদল হিসেবেও দেখছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৭
ইইউডি/এএসআর