ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

সিলেটে ১৬টির ৭টি আ.লীগের হাতছাড়া

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১
সিলেটে ১৬টির ৭টি আ.লীগের হাতছাড়া বিজয়ীরা।

সিলেট: তৃতীয় ধাপে সিলেটের ৩ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ট ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হলেও হারের সংখ্যাও একেবারে কম নয়।


 
তৃতীয় ধাপের এই নির্বাচনে ৭টি ইউনিয়ন হাতছাড়া হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। এসব ইউনিয়নের ৩টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, ২টিতে স্বতন্ত্রের ব্যানারে বিএনপি, অপর দুটিতে জাতীয় পার্টি ও জাসদের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।  
 
রোববার (২৮ নভেম্বর) ভোটগ্রহণ শেষে রাতে বিজয়ী প্রার্থীদের বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটানিং কর্মকর্তারা।
 
প্রাপ্ত ফলাফলে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে
সিলাম ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের শাহ ওলিদুর রহমান ৫ হাজার ৪৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুজিবুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৫২ ভোট।  

এ ইউনিয়নে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। লালাবাজার ইউপিতে আওয়ামী লীগের তোয়াজিদুল হক নৌকা প্রতীকে ৪ হাজার ৩০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহিদুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে ৪ হাজার ১৩ ভোট পেয়েছেন। ইউনিয়নে মোট ছয় প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অংশ নেন।
 
জালালপুরে আওয়ামী লীগের ওয়েছ আহমদ নৌকা প্রতীকে ৭ হাজার ৯৯১ ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ঘোড়া প্রতীকে মোহাম্মদ নেছারুল হক ৪ হাজার ৯৯৫ ভোট। এ ইউপিতে ৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।  
 
দাউদপুরে আওয়ামী লীগের আতিকুল হক আতিক নৌকা প্রতীকে ৭ হাজার ৩০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. নুরুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ৩ হাজার ৯৪ ভোট পেয়েছেন। এখানে ৪ প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন।  
 
মোগলাবাজার ইউপিতে নৌকাকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বর্তমান চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম শায়েস্তা। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৮৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ছদরুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে ৩ হাজার ৫১৬ ভোট পেয়েছেন।  
 
জৈন্তাপুর উপজেলার ২ নম্বর জৈন্তাপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফখরুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ৫ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ৩ হাজার ৭৪১ ভোট এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক (নৌকা) পরাজিত হন।
 
৩ নম্বর চারিকাটা ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান করিম (দুটি পাতা) ৪ হাজার ৫৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম  প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী (অটোরিকশা) ২ হাজার ২১৫ ভোট পেয়েছেন।
 
৪ নম্বর দরবস্ত ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাহারুল আলম বাহার (আনারস) ১০ হাজার ১১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন নৌকা প্রতীকে ৭ হাজার ১৩৯ ভোট পেয়েছেন।
 
৫ নম্বর ফতেপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রফিক আহমদ নৌকা প্রতীকে ৭ হাজার ৬৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশীদ (ঘোড়া) ৪ হাজার ৯৬৩ ভোট পেয়েছেন।
 
৬ নম্বর ফতেপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কামরুজ্জামান চৌধুরী নৌকা প্রতীকে ২ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান এবিএম জাকারিয়া (চশমা) ২ হাজার ৬৬৫ ভোট পেয়েছেন।
 
গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এম নিজাম উদ্দিন, তোয়াকুলে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মো. লোকমান, নন্দিরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের এস কামরুল ইসলাম আমিরুল, ফতেহপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আমিনুর রশিদ চৌধুরী, লেংগুড়ায় আওয়ামী লীগের মো. মুজিবুর রহমান ও রুস্তুমপুরে স্বতন্ত্রের ব্যানারে বিএনপির শাহাব উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১
এনইউ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।