ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাঁও ইউনিয়নে ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় বিজিবির গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও পাঁচজন।
রোববার (২৯ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ৩ নম্বর খনগাঁও ইউনিয়নের ঘিডোব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ঘিডোবা গ্রামের বাসিন্দা সাহাবলি হুসেন (৩৫), মজাহারুল (৪০) ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী আদিত্য (২০)। এছাড়া
গুলিবিদ্ধ হয়ে ও সংঘর্ষে পুলিশসহ আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে পীরগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ৮টার দিকে ভোটের ফলাফল গণনার পরেই ওই এলাকার বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নুরুজ্জামান ও তার সমর্থকরা প্রিজাইডিং অফিসারসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তাদের কেন্দ্রে ঘিরে ফেলে। এই খবর পাওয়ার পরে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাকেও কেন্দ্রে অবরুদ্ধ করা হয়। এসময় কেন্দ্রে থাকা একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর গাড়ি ভাঙচুর করে এলাকাবাসী। এছাড়াও কেন্দ্রের আশপাশের রাস্তা কেটে ফেলা হয় ও লাঠিসোটা নিয়ে কেন্দ্র ঘেরাও করে রাখে তারা।
প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসলে তাদের ওপরও আক্রমণের চেষ্টা করা হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবির সদস্যরা কয়েক রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এসময় সাহাবলি হুসেন ও মজাহারুল দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ও সংঘর্ষে পুলিশসহ আরও ছয়জন আহত হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আদিত্য রামে এক কলেজছাত্র। আগামী বৃহস্পতিবার তার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম গুলিতে একজন নিহত ও চারজন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবির সদস্যরা গুলি ছোড়ে। আমরা এখন পর্যন্ত একজন নিহত ও চারজন আহতের খবর শুনেছি। আমাদের বিজিবি ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরাও আহত হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১/আপডেট: ১০৫৮ ঘণ্টা
আরএ