বরগুনা: বরগুনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ আসন- ২ (আমতলী উপজেলা) থেকে প্রতিদ্বন্দিতাকারী দুই সদস্য পদপ্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় জয়-পরাজয় নির্ধারণে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বরগুনা জেলা প্রশাসক কর্তৃক একতরফা লটারি দেওয়ার অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধা (টিউবয়েল)।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় আমতলী সদর ইউনিয়ন কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সদ্য সমাপ্ত বরগুনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ আসনের-২ (আমতলী উপজেলা) প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আবুল বাশার নয়ন মৃধা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি ও আমার অপর প্রতিদ্বন্দ্বী সদস্য প্রার্থী আহুরুজ্জামান আলমাছ খান (হাতি) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেই। নির্বাচনে আমরা উভয় প্রার্থী ৪৫টি করে ভোট পাই। সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় জয়-পরাজয় নির্ধারণ করতে নির্বাচনী পরিপত্রের ২২ ধারায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান তার কার্যালয়ে লটারির আয়োজন করেন।
ওই লটারি করার সিদ্ধান্তটি আমাকে এবং আমার নির্বাচনী এজেন্টকে না জানিয়ে একতরফাভাবে আয়োজন করে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী অপর সদস্য প্রার্থী আহুরুজ্জামান আলমাছ খানকে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমরা দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সাধারণ সদস্য প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় জয়-পরাজয় নির্ধারণে লটারির মাধ্যমে না গিয়ে পুনঃরায় ভোটের দাবি করেছিলাম। কিন্তু জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বরগুনা জেলা প্রশাসক আমার দাবি না মেনে এবং আমাকে বা আমার নির্বাচনী এজেন্টকে না জানিয়ে একতরফাভাবে লটারির সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন তা আইন সম্মত নয়।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার একতরফা সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে আমতলী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন মৃধা, ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম মিলন মৃধা, সাইদুল হক মাস্টার, ইফতেকার রসুল তপন প্যাদা, থ্রি-হুইলাম শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি খোকন মৃধা, সাইফুল ইসলাম বাদল প্যাদা ও আমতলীতে কর্মরত বিভিন্ন সংবাদপত্রের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
আরএ