কিংবদন্তি গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান পৌঁছে গেলেন জীবনের ৮১ বসন্তে। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) তার জন্মদিন।
জন্মদিন প্রসঙ্গে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান বলেন, জন্মদিনের অর্থ, মৃত্যুর দিকে এক ধাপ এগোনো ছাড়া আর কিছুই নয়। জন্মদিন এলে একটি বছর বাড়ল, এটিই মনে হয়। আয়ু থেকে ঝরে গেল আরো এক বছর। এর চেয়ে আর বেশি কিছু এখন আর মনে হয় না।
বিশেষ দিনের আয়োজন নিয়ে এই কিংবদন্তি বলেন, আমার পরিবার, ছেলে-মেয়ে আছে আমার ভীষণ ভক্ত। প্রতিবারই কোনো না কোনা আয়োজন করা হয়। পরিবারের সদস্যরা ওদের মতো করেই প্রতিবছর পালন করে থাকে।
১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি গানের এই কবি জন্মগ্রহণ করেন ঝিনাইদহে। তার পৈতৃক বাড়ি যশোর জেলার খড়কীতে। রফিকউজ্জামান শুধু গীতিকবিই নন, শতাধিক চলচ্চিত্রের কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচয়িতাও করেছেন। পরিচালনা করেছেন ‘জন্মদাতা’ নামের একটি সিনেমাও। ষাটের দশকে কবি হিসেবেও ছিল তার সুনাম।
মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান ১৯৬৫ সাল থেকে বাংলাদেশে বেতারে নিয়মিত গীতিকার হিসেবে যুক্ত হন। এরপর থেকে সংস্কৃতি অঙ্গনের সঙ্গেই রয়েছেন গুণী এই মানুষটি। ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে এবং ২০০৮ সালে শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের লেখা জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘সেই রেললাইনের ধারে মেঠোপথটার পারে দাঁড়িয়ে’, ‘ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়’, ‘দুঃখ আমার বাসর রাতের পালঙ্ক’, ‘কিছু কিছু মানুষের জীবনে ভালোবাসা চাওয়াটাই ভুল’, ‘যদি মরনের পরে কেউ প্রশ্ন করে’, ‘আমার মন পাখিটা যা রে উড়ে যায়’, ‘আমার বাউল মনের একতারাটা’, ‘চির অক্ষয় তুমি বাংলাদেশ’, ‘পদ্ম পাতার পানি নয়, দিন যাপনের গ্লানি নয়’, ‘মাঠের সবুজ থেকে সূর্যের লাল’, ‘যেখানে বৃষ্টি কথা বলে’, ‘আমি নদীর মতন বয়ে বয়ে’, ‘শুক পাখিরে, পিঞ্জিরা তোর খুলে দিলাম আজ’, ‘আকাশের সব তারা ঝরে যাবে’, ‘বন্ধু হতে চেয়ে তোমার শত্রু বলে গণ্য হলাম’।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
এনএটি