ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

মান্না নেই ১৫ বছর

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
মান্না নেই ১৫ বছর নায়ক মান্না

পারিবারিক নাম সৈয়দ মোহাম্মদ আসলাম তালুকদার হলেও চলচ্চিত্রের নায়ক হয়ে পরিচিতি পান নায়ক মান্না নামে। ২৩ বছরের ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন তিন শতাধিক সিনেমায়।

জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালের আজকের দিনে মৃত্যুবরণ করেন ঢালিউডের এই সুপারস্টার। সেই হিসেবে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মান্নার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী।

মান্নার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পারিবারিকভাবে নানান আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নায়কপত্নী শেলী মান্না বলেন, টাঙ্গাইলে মান্নার গ্রামের বাড়িতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তরায় মান্নার নিজের তৈরি বাসভবন ‘কৃতাঞ্জলী’তে স্মরণসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। প্রয়াত স্বামীর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন শেলী।

এছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উদ্যোগে বাদ আসর এফডিসিতে স্মরণসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজনও করা হবে।

১৯৬৪ সালের ১৪ এপ্রিল টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন মান্না। সাদা কালো সিনেমার যুগে জন্ম নেওয়া এই ছেলেটি শৈশবেই দেখেছিলেন বড় পর্দা মাতানোর স্বপ্ন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করে ঢাকা কলেজে স্নাতকে ভর্তি হন তিনি। এরপরেই শৈশবের স্বপ্ন বাস্তব হয়ে ধরা দেয় ১৯৮৪ সালে এফডিসির নতুন মুখের সন্ধান কার্যক্রমের মাধ্যমে।  

মান্নার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘পাগলী’ সিনেমার মাধ্যমে। সিনেমাটি ১৯৮৫ সালে মুক্তি পায়। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও মান্না নায়ক হিসেবে সফলতা পান ১৯৯১ সালে মুক্তি প্রাপ্ত ‘কাশেম মালার প্রেম’ সিনেমা দিয়ে। এরপর একের পর এক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিজেকে সেরা নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন মান্না।

এক সময় মান্নার সিনেমা মানেই ছিল হলভর্তি দর্শক আর সফল ব্যবসা। দেশের চলচ্চিত্র যখন অশ্লীলতা নিয়ে সংকটে পড়েছিল, তখন সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণের অঙ্গীকার নিয়ে মান্না গঠন করেন ‘কৃতাঞ্জলী চলচ্চিত্র’ নামে একটি প্রযোজনা সংস্থা। প্রযোজক হিসেবেও সফল হয়েছিলেন এই নায়ক। তার প্রযোজনায় তৈরি হয় ‘লুটতরাজ’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’সহ অনেক ব্যবসাসফল ও প্রশংসিত সিনেমা।

২০০৩ সালে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘বীর সৈনিক’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন মান্না। তার অভিনীত ‘আম্মাজান’ সিনেমা বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই সিনেমাটির জন্য তিনি ১৯৯৯ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে বাচসাস পুরস্কার পান।

মান্না অভিনয় করার পাশাপাশি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন।

জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ঢালিউডের এই মহাতারকা। তার প্রয়াণে ঢাকাই সিনেমায় যে ক্ষত তৈরি হয়, তা এই ১৫ বছরে কমেনি এক বিন্দু।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।