ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিনোদন

সময়ের নাটক ‘শেষ সংলাপ’

তোফাজ্জল লিটন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১০
সময়ের নাটক ‘শেষ সংলাপ’

‘অনেকদিন পর একটা ভালো নাটক দেখলাম। নাটকের পান্ডুলিপি যেমন সময় উপযোগী, তেমনি অভিনয়টাও হয়েছে চমৎকার, নাটকের সেট নির্মাণ এবং পোশাক পরিকল্পনায় আমাকে এক রাজকীয় আমলে নিয়ে গিয়েছিল’।

‘সময়’ নাট্যদলের নতুন প্রযোজনা ‘শেষ সংলাপ’ নাটকের প্রদর্শনী শেষে কথাগুলো বলছিলেন  স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তানভির আরজু তমাল।

নাটকটি  মঞ্চস্থ হয় ৩০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর পরীণ থিয়েটার হলে। এটি ছিল এ নাটকের  ১২ তম প্রদর্শনী।

মিশরীয় নাট্যকার তাওফীক আল হাকিমের ‘সুলতানুজ জান্নাম’ অবলম্বনে নাটকটি যৌথভাবে অনুবাদ করেছেন ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ ও ম. সাইফুল আলম চৌধুরী। এটি নির্দেশনা করেছেন আকতারুজ্জামান।

‘নাটকটির প্রথম প্রদর্শনী করি কলকাতার গঙ্গা-যমুনা উৎসবে; সেখানে সাধারণত ভালো নাটকগুলোই স্থান পায়। রাজনীতি সচল থাকে সাধারণত আইন এবং ধর্মকে পুঁজি করে, আমাদের দেশে রাজনীতিও এ নিয়েই। তাই বাংলাদেশের জন্য এ নাটকটি সব সময়ই প্রাসঙ্গিক’। নাটকের সময় উপযোগীতা এবং মান সম্পর্কে  এভাবেই বলেন নির্দেশক আকতারুজ্জামান।

নাটকটির কাহিনী হচ্ছে, মিসরের এক সুলতান উত্তরাধিকারী হিসেবে তার পালিত পুত্র একজন ক্রীতদাস সেনাধ্যক্ষকে মনোনীত করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মৃত্যুকালে তিনি তার মসনদের উত্তরাধিকারী সুলতানকে ক্রীতদাসত্ব থেকে মুক্তি দিয়ে যেতে পারেননি।
 
ফলে ‘সুলতানের দাসত্ব মোচন হয়নি’- এমন গোপন সংবাদ রাজ্যময় ছড়িয়ে দেবার অপরাধে এক দাস ব্যবসায়ীকে বন্দী করা হয়। কিন্তু বন্দীর ফরিয়াদনামা দেখে বিচার সভায় উপস্থিত হন স্বয়ং সুলতান। ব্যবসায়ীর কথা শুনে প্রচ- এক দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হন তিনি। বিপাকে পড়ে যান রাজ্যের প্রধান কাজী আর উজির। অনেক তর্ক আর বিতর্কের পর সুলতানকে আইনের পথ বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন প্রধান বিচারক। আইন অনুযায়ী জনসম্মুখে প্রকাশ্য নিলামে সুলতানকে বিক্রি করা হবে এবং শর্ত অনুযায়ী যিনি নিলামে সুলতানকে ক্রয় করবেন, তিনি তাৎণিকভাবে মুক্তিনামায় স্বাক্ষর করে সুলতানকে মুক্তি দেবেন। আইন মেনে নিয়ে নিলামে ওঠেন সুলতান।

কিন্তু দেখা দেয় নতুন সংকট। কারণ, নিলাম ক্রয়কারী যার প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছেন, তিনি এই রাজ্যে বারবনিতা হিসেবে পরিচিত। শুরু হয় তুমুল যুক্তিতর্ক। হারতে রাজী নন মহিলা। তিনি দাসত্বের মুক্তিনামায় স্বার করতে অস্বীকৃতি জানান। অকাট্য তার যুক্তি। শেষ পর্যন্ত মহিলার বাড়িতে এক রাতের জন্য মেহমান হওয়ার সম্মতি জানান সুলতান। কিন্তু, এরপর ঘটতে থাকে বিচিত্র নাটকীয়  ঘটনা। এভাবে দর্শকদের উৎকন্ঠায় রেখে এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনী।    

এ নাটকে অভিনয় করছেন ‘সময়ে’র নিয়মিত নাট্যকর্মী পাভেল ইসলাম, ঈশিতা চাকী, রিয়াজ মাহমুদ জুয়েল, আরিফুজ্জামান, ফখরুল ইসলাম, তোফায়েল সরকার, নাহিদ নিলয় বিপ্লব, রিংকু, মাসুম, টিপু, আনোয়ার, সেন্টু এবং সেলিনা প্রমুখ।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ২০৪৭, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।