ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

বিনোদন

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে নিয়ে স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫২ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২৩
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে নিয়ে স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল

প্রয়াত আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে নিয়ে স্মারকগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে আদিল প্রকাশ।

সম্পাদনা করেছেন লেখক ও গীতিকার গাজী তানভীর আহমদ।

সম্প্রতি শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল স্মারকগ্রন্থ’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সেখানে নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর সভাপতিত্বে দেশের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বগণ তাদের স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন।

এ সময় সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, বুলবুলের একেকটি গান ছিল একেক রকম, একটার সঙ্ড়ে আরেকটার কোনো মিল ছিল না। দেশের গান-ও যে এমন সুরে আর কথায় হতে পারে তা বুলবুল করে দেখিয়েছে। বুলবুলের সঙ্গে আমার গান করার শুরুর দিকের অনেক অজানা বিষয় এই বইটিতে আমি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বুলবুলের সকল গান আর্কাইভ করে রাখার জন্য আমি সরকারের কাছে বিনীত আহবান জানাচ্ছি।

সামিনা চৌধুরী বলেন, বুলবুল ভাই অত্যন্ত ভালো মনের একজন মানুষ ছিলেন। এই বইটিতে বুলবুল ভাইয়ের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের নানান বিষয় উঠে এসেছে। এই স্মারকগ্রন্থ থেকে আপনারা একজন অন্যরকম বুলবুল ভাইকে খুঁজে পাবেন।

এ সময় আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের বড়বোন রোখসানা তানজিম মুকুল বাংলাদেশের পতাকা জড়িয়ে আবেগঘন ভাষায় ভাইয়ের যুদ্ধদিনের এবং মৃত্যুর পূর্বের দিনগুলোর কথা বর্ণনা করেন।

স্মারকগ্রন্থের সম্পাদক গাজী তানভীর আহমদ বলেন, বুলবুল চাচা ছিলেন একজন শিশু-মানুষ। এই মহান মানুষটির নিকট থেকে আমি মানুষ হতে যেসব গুণের প্রয়োজন তার অনেক কিছুই শিখেছি। আমি দেখেছি একজন প্রকৃত মানুষ-আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে। সেই গুণের মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকেই আমার দীর্ঘ আড়াই বছরের বেশি সময়ের প্রচেষ্টার ফসল আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল স্মারকগ্রন্থ।

সভাপতির ভাষণে নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, বুলবুল দেশকে এবং দেশের মানুষকে ভালোবেসে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজ করে গেছেন। আমরা তার কাছে ঋণী। বুলবুল দেশের জন্য ট্রাইব্যুনালে দাঁড়িয়েছে। তার ভাইকে মেরে ফেলা হয়েছে। কিন্তু আমরা তাকে নিরাপত্তা দিতে পারিনি। বুলবুলও নিরাপত্তাহীনতা বোধ থেকে বাসা থেকে খুব একটা বের হতো না। একজন সৃষ্টিশীল মানুষ বন্দিত্বে থেকে তার সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটাতে পারেন না। এটা ছিল আমাদের জন্য চরম ব্যর্থতার।

এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বুলবুলের একাত্তরের যুদ্ধকালীন বন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহিউদ্দিন হায়দার খোকা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কণ্ঠশিল্পী লীনু বিল্লাহ, বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার ড. মতিন রহমান, ছটকু আহমেদ, গাজী মাহবুব প্রমূখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২৩
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।