জালে মাছ ওঠেনি, তবুও খুশিতে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন পটুয়াখালীর ৭ জেলে। এর কারণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি দেখতে পাবেন তারা আজ।
সাত জেলে হলেন - নাসির উদ্দিন, মোহাম্মদ মুসা, জাহাঙ্গীর হোসেন, বাবুল মুনশি, রেজাউল করিম ও দুই শিশু। তারা সবাই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার পূর্বদিকে অবস্থিত গঙ্গামতি চরের জেলেপল্লির বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ) ২০২১ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সম্মাননা তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন পটুয়াখালী জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই ৭ জেলে। দর্শকের আসনে অতিথি হিসেবে থাকবেন তারা।
এসব জেলে বিশ্বাস করতে পারছেন না, প্রধানমন্ত্রীকে খুব কাছ থেকে দেখবেন তারা। রীতিমতো ঘোরে আছেন তারা।
কারণ, সমুদ্রের সঙ্গে যুদ্ধ করা এসব জেলে এর আগে কখনও ঢাকা শহরে আসেননি। কোনো আত্মীয়স্বজনও নেই তাদের রাজধানীতে। ঢাকার বড় বড় অট্টালিকা, জ্যাম, যান্ত্রিক কোলাহল সবই তাদের কাছে নতুন।
আর জীবনে প্রথমবার ঢাকায় এসেই দেখা পাবেন সরকারপ্রধানের! এ যে অবিশ্বাস্য ব্যাপার।
সাত জেলের এমন সৌভাগ্য এনে দিয়েছে ‘নোনা জলের কাব্য’ সিনেমা। ২০১৭ সালে নির্মিত সিনেমাটিতে ওই সাত জেলেকে ক্যামেরার সামনে এনে দাঁড় করান সিনেমার পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার।
সাত জেলে হয়ে ওঠেন সাত অভিনয়শিল্পী।
২০২১ সালে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘নোনা জলের কাব্য’। স্বীকৃতি হিসেবে সর্বাধিক ৭ শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়।
এ বিষয়ে ‘নোনা জলের কাব্য’র পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার বললেন, এ পুরস্কারে অংশীদার এই জেলেরা। পুরস্কার ঘোষণার পর থেকেই শুটিংয়ে জড়িত জেলের কথাই ভাবছিলাম। চাইছিলাম, যেভাবেই হোক এই জেলেদের জাতীয় চলচ্চিত্র অনুষ্ঠানে অতিথি করে নিয়ে আসব। সেটা পেরেছি। নিজের জন্য দুটি রেখে বাকি সাতটি কার্ডের অতিথি হিসেবে জেলেদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২৩
এসএএইচ