অভিনয় নয়, স্বামীসহ সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে কটাক্ষের শিকার ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
এজন্য অভিনেত্রী নিজেই অনেকটা দায়ী।
গত ১৯ আগস্ট রাত ১০টার দিকে ইনস্টাগ্রাম-ফেসবুকে মাহি পোস্ট দিয়ে জানান, অন্যের বুকিং ক্যানসেল করে বোট নিয়ে হাওরে ঘুরেছেন তিনি। আর এ কাজে তাদের সহায়তা করেছেন সুনামগঞ্জের সাবেক ছাত্রনেতা ও কেন্দ্রীয় যুবনেতা ফজলে রাব্বী স্মরণ। তিনিই বোটের ব্যবস্থা করে দেন।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর পরই সমালোচনার বিষবাক্যে জর্জরিত হন মাহি। ক্ষমতা দেখিয়ে অন্যের ট্রিপ ক্যানসেল করে স্বামীসহ মাহির এ ভ্রমণ ভালোভাবে নেয়নি নেটিজেনদের অনেকে।
সমালোচনার ঝড়ের মধ্যেই বিষয়টি স্পষ্ট করলেন মাহি।
এক সংবাদমাধ্যমকে ‘অগ্নি’ খ্যাত এ অভিনেত্রী বলেন, ‘একটা কৃতজ্ঞতাবোধ জানানোর জন্য পোস্টটি করেছিলাম। কিন্তু এটা নিয়ে এত নেতিবাচকতা ছড়াবে মানুষ, তা আমি বুঝতে পারিনি। যারা নেতিবাচকভাবে নেয়, আমি চাই তারা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করুক। আর যারা সবসময় নেতিবাচকভাবে চিন্তা করে তাদের নিয়ে তো কিছু বলার নেই। ’
যাদের বুকিং করা বোট তিনি ব্যবহার করেছেন, তাদেরকে অন্য বোট ম্যানেজ করে দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘সুনামগঞ্জে স্মরণ ভাইয়ার একটি রেস্টুরেন্ট আছে। সেখানে আমরা খেতে খেতে তখন তিনি বলেছেন যে, এটির (বোট) তো বুকিং ছিল। পরে আমরা যে বোটে গেছি সেটা চেঞ্জ করে আরেকটা ম্যানেজ করে দিয়েছে তাদের (যারা বুকিং দিয়েছিলেন)। ’
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এটা অনেক বড় বিষয় লাগছে যে, আমাদের জন্য তিনি (কেন্দ্রীয় যুবনেতা ফজলে রাব্বী স্মরণ) এতটা হেডেক নিয়েছে। একজনের বোট, ওইটা আবার আরেকটি বোট ম্যানেজ করে দিয়েছে। এই যে আমাদের জন্য তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে—বিষয়টি এভাবেই আমি এক্সপ্লেইন করেছি। ’
নায়িকা মাহির যে পোস্টের কারণে সমালোচনার ঝড় ওঠে তার ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘কোনো রকম পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই আমরা হঠাৎ টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু হুট করে চাইলেই সেখানে বোট পাওয়া যায় না। ২০ তারিখের আগে কোনো বোট ফ্রি নেই। আমিও নাছোড়বান্দা, জামাইকে বলছি ১৭ তারিখে আমাকে নিয়ে যেতেই হবে। জামাই দিশা না পেয়ে ফোন করলেন সুনামগঞ্জের সাবেক ছাত্রনেতা ও কেন্দ্রীয় যুবনেতা ফজলে রাব্বী স্মরণ ভাইকে। তিনি অন্যজনের বুকিং ক্যানসেল করিয়ে ১৭ তারিখে আমাদের জন্য বোট রেডি করে দিলেন। বুঝতে পারলাম সুনামগঞ্জে তার বিশাল প্রভাব। ধন্যবাদ ফজলে রাব্বী স্মরণ ভাই। আপনি ছাড়া এই ট্রিপ ক্যানসেল হয়ে যেত। ’
এ নায়িকা লেখেন, ‘ফারিশসহ আমরা ২২ জন ২ দিন ১ রাত হাওরে অনেক আনন্দ করেছি। সব দায়িত্ব স্মরণ ভাই অনেক আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করেছেন। ওহ, উনি কিন্তু ছাত্রলীগের জনপ্রিয় সং আমরা ছাত্রলীগেরই সেনা, নেত্রী মোদের শেখ হাসিনা লিখেছেন এবং গেয়েছেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৩
এসএএইচ