ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বাড়িতে, নানামুখী প্রশ্নে রাহুলের উত্তর

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বাড়িতে, নানামুখী প্রশ্নে রাহুলের উত্তর

সম্প্রতি ঢাকায় সফরে এসেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এ সফরে নিজের ইচ্ছেমতো ঘুরেছেন তিনি।

তবে ম্যাক্রোঁর সফরে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো- ব্যান্ড ‘জলের গান’র শিল্পী রাহুল আনন্দের ধানমন্ডির বাড়িতে যাওয়া। বলতে গেলে এই প্রথম অন্য কোনও দেশের রাষ্ট্রপতি এসে খোদ শিল্পীর বাড়িতে গিয়ে সময় কাটালেন।

বিষয়টিকে গর্বচিত্তে উপভোগ করেছে সংগীতপ্রেমীরা। কিন্তু কিছু প্রশ্নও উঁকি দিচ্ছে অনেকের মনে। তারা জানতে চাইছে, দেশে তো আরও বহু শিল্পী থাকতে কেন রাহুল আনন্দের বাড়িতেই পা রাখলেন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ? 

অবশেষে এর জবাব দিলেন রাহুল আনন্দ। সামাজিকমাধ্যমে দীর্ঘ এক পুরো বিষয়টি খোলাসা করলেন করেন তিনি।

শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ জানিয়ে এই গায়ক লেখেন, আমি বাংলায় গান গাই। বাংলাকে ও এই দেশের মানুষকে ভালোবাসি। ক’দিন আগে ফ্রান্সের মহামান্য প্রেসিডেন্ট আমার স্টুডিওতে এসেছিলেন। তাতে আপনারা অনেকেই আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাদেরকে ধন্যবাদ ও ভালোবাসা।

রাহুল আনন্দের ভাষ্য, অনেকের নানান প্রশ্ন, কেনো তিনি আমার এখানে এলেন, উদ্দেশ্য কী ছিলো, বাংলাদেশে কি আর কোন সংগীতশিল্পী ছিলো না? আমি এর উত্তর বারবার নানা মাধ্যমে দিয়েছি, আবারও দিচ্ছি। প্রথমত, সাংস্কৃতিক আয়োজন ছিলো আলিয়ঁন্স ফ্রঁসেজের (ঢাকায় নিযুক্ত ফরাসী সংস্থা)। তারা চেয়েছেন তাদের রাষ্ট্রপতিকে বিভিন্ন মাধ্যমের কিছু শিল্পীর সঙ্গে কথা বলাতে এবং বাংলাদেশের পারিবারিক আবহ দেখাতে। এই আয়োজনে আমি ছাড়া অন্য শিল্পীরাও ছিলেন: কামরুজ্জামান স্বাধীন ও মৌসুম, আফরোজা হোসাইন সারা, আশফিকা রহমান। আমরা সকলেই আঁলিয়াস ফ্রঁন্সেজের সঙ্গে আগে নানা আর্ট ও মিউজিক প্রজেক্টে কাজ করেছি। আমার ধারণা সেই কারণেই আমাদের সঙ্গে দেখা করেছেন।

তিনি লেখেন, অন্য যে কোনও স্থানেই এই সাক্ষাৎ হতে পারতো। কিন্তু উনি চেয়েছেন আমার স্টুডিও দেখতে, বাদ্যযন্ত্র দেখতে। ঘটনাক্রমে, আমার স্টুডিও এবং যন্ত্র তৈরির কারখানা আমার বাড়িতেই। আমি যে বাড়িতে থাকি, তা শত বছরের পুরানো স্থাপত্য, যার কারণে ইতিহাসের একটা চিহ্ন আছে। হয়ত সে-ও এক আকর্ষণীয় ব্যাপার ছিল।  

রাহুল যোগ করেন, উল্লেখ্য: পুরোটা সময় ওনার সঙ্গে ছিলেন আমাদের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মহোদয়। আমরা তাকেও একই সম্মানে বরণ করি। রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে আমি এ দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। আমার ধারণা আপনারা যে কেউই তাই করতেন।

এমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে নিজের বাড়িতে দেখে অবাক এবং আপ্লুত হয়েছেন রাহুল আনন্দ। সেই অনুভূতি ব্যাক্ত করে রাহুল লেখেন, এতো বড় মাপের একজন রাষ্ট্রীয় অতিথি হঠাৎ আমার দরজায়! স্বাভাবিকভাবেই, আমি অবাক হই, অভিভূত হই। সত্যি বলতে পুরোটা সময় আমি বিস্ময়ের এক ঘোরে ছিলাম! এদিকে সময় খুব সীমিত, তাই মনোনিবেশ করতে হয়েছে আতিথেয়তায়। আমি আমার দেশের নাগরিক তথা সরকার ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাকে যথাযোগ্য সম্মান ও আমাদের সংস্কৃতি অনুযায়ী বরণ করতে চেষ্টা করেছি। অতিথিসেবা আমাদের পূর্বপুরুষের সংস্কৃতির প্রধান অঙ্গ এবং দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। সেই জন্যেই করেছি।

সবশেষে রাহুল লেখেন, ওনাকে (এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ) আমাদের স্টুডিওতে আতিথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত কোনও আবেগ, লাভ-লোকসান, লেনাদেনা বা উদ্দেশ্য ছিল না এবং নেই। বরং মানুষের ভালোবাসার কথাই বলেছি তাকে, একটা সুন্দর সবুজ পৃথিবী গড়বার কথাই বলেছি।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।