আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
তবে গতকাল রোববার (৩ ডিসেম্বর) যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
মনোনয়নপত্র বাতিলের পর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তা দেন এই অভিনেত্রী। সেখানে তিনি মনোনয়নপত্র বাতিলের কারণ এবং পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ নেবেন তা জানান ভক্ত-অনুরাগী ও নিজ নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের।
ভিডিও বার্তায় মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই ইতোমধ্যে জেনে গেছেন আমি আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। আজকে সেটার যাচাই-বাছাই ছিল। যাচাই-বাছাইয়ে আমার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে এখানে ১ শতাংশ ভোটারদের যে সাইন লাগে, সেখানে ভুল তথ্য দেওয়া আছে।
তিনি বলেন, ‘এর মানে তারা সাইন করেনি কিন্তু আমি দেখেছি তারা সাইন করেছেন। সেদিক থেকে আমার কাছে সব ধরনের প্রমাণ আছে। আমি যখন সাইন নিয়েছি প্রত্যেকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সাইন নেওয়ার পরেও কথা হয়েছে। ’
আপিল করবেন জানিয়ে মাহি বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ আমি আপিল করব। আগামী ৫ তারিখে আপিল করব। আপিল করার পরে আপিল বিভাগ থেকে আমার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেবে। আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারব। এবার একটি উৎসবমুখর নির্বাচন হবে। তানোর-গোদাগাড়ীবাসী দলেবলে ভোট দিতে যাবে। নির্বাচনকেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হবে। ’
মাহির মনোনয়ন বাতিলের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ জানান, মাহিয়া মাহি ৪ হাজার ৮৩ জন সমর্থনকারী স্বাক্ষর জমা দেন। এর মধ্য থেকে ১০ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই করে ৩ জনের তথ্যে হেরফের পাওয়া গেছে। তার জমা দেওয়া এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের মধ্যে তিনজন ভোটারের নমুনা পাওয়া যায়নি। আর এক জন ভোটার না। ললিতা মান্ডি নামে একজন নারী রয়েছেন যিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোলের ভোটার। তিনি তানোরের ভোটার না। এজন্য মাহির মনোনয়নপত্রটি অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২৩
এসএএইচ