টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে তিনি ছিলেন বেশ জনপ্রিয়। শহিদুল্লাহ কায়সারের ‘সংশপ্তক’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত নাটকে ‘মিয়ার বেটা’ চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হন তিনি।
বলছি বরেণ্য অভিনেতা খলিল উল্লাহ খানের কথা। ১৯৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সিলেটের কুমারপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন খলিল উল্লাহ খান। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) তার নবম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৪ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন এ অভিনেতা।
খলিল উল্লাহ খান অভিনয়ের শুরুটা হয়েছিল টিভি নাটকের মধ্যদিয়ে। ১৯৫৯ সালে জহির রায়হান পরিচালিত ‘সোনার কাজল’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার সিনেমায় পদার্পণ।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘প্রীত না জানে রীত’, ‘সংগম’, ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’, ‘ক্যায়সে কঁহু’, ‘জংলি ফুল’, ‘আগুন’, ‘পাগলা রাজা’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ওয়াদা’ , ‘বিনি সুতার মালা’, ‘বউ কথা কও’, ‘কাজল’।
১৯৬৬ সালে এস এম পারভেজ পরিচালিত ‘বেগানা’ সিনেমায় প্রথমবার খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন খলিল উল্লাহ খান। এরপর বহু সিনেমায় তাকে খলচরিত্রে দেখা গেছে।
ইতিহাসনির্ভর ‘ফকির মজনু শাহ’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেও ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছিলেন খলিল উল্লাহ খান। নির্মাতা হিসাবে নির্মাণ করেছিলেন ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’ সিনেমা। প্রযোজনা করেছিলেন ‘সিপাহী’ ও ‘এই ঘর এই সংসার’ সিনেমাগুলো।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতিও ছিলেন খলিল উল্লাহ খান। এ অভিনেতাকে ২০১২ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২৩
এনএটি