প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক, সুরকার ও গীতিকার আলাউদ্দিন আলীর জন্মদিন। ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী থানার বাঁশবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আলাউদ্দিন আলী।
২০২০ সালের ৯ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই সুর সম্রাট। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন বরেণ্য এই কিংবদন্তি। বেঁচে থাকলে আজ জীবনের ৭১ বছরে বসন্তে পা রাখতেন তিনি।
পিতা ওস্তাদ জাবেদ আলী ও ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে প্রথম সঙ্গীতের শিক্ষা নেন আলাউদ্দিন আলী। ১৯৬৮ সালে আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হয়ে যন্ত্রশিল্পী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। এরপর সুরকার আনোয়ার পারভেজসহ অনেকের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন।
১৯৭২ সালে দেশাত্মবোধক ‘ও আমার বাংলা মা’ গানের মাধ্যমে সংগীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। একই বছর ‘সন্ধিক্ষণ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম সিনেমাতে সংগীত পরিচালনা শুরু করেন তিনি।
আলাউদ্দিন আলী ১৯৮৫ সালে শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। আর ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’ এবং ‘যোগাযোগ’ সিনেমার জন্য ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রায় ৩০০টির অধিক চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন আলাউদ্দিন আলী। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭ বার সংগীত পরিচালক হিসেবে এবং শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে ১ বারসহ মোট ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন এই সঙ্গীতজ্ঞ।
অসংখ্য কালজয়ী গানের সংগীত পরিচালক ছিলেন আলাউদ্দিন আলী। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসতো’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘ভালোবাসা যতো বড়ো জীবন তত বড় নয়’, ‘দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়’, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘সূর্যোদয়ে তুমি’, ‘সূর্যাস্তেও তুমি ও আমার বাংলাদেশ’, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম দেখা পাইলাম না’, ‘যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে’, ‘এমনও তো প্রেম হয়’, ‘চোখের জলে কথা কয়’, ‘কেউ কোনো দিন আমারে তো কথা দিল না’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো’ ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
এনএটি