ঢাকা, বুধবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

বিনোদন

অভিনেত্রী দিতি ও অভিনেতা সোহেল কন্যা লামিয়া

‘বিপদ আসলে কীভাবে হ্যান্ডেল করতে হয় মায়ের কাছে শিখেছি’

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫
‘বিপদ আসলে কীভাবে হ্যান্ডেল করতে হয় মায়ের কাছে শিখেছি’ পারভীন সুলতানা দিতি-লামিয়া চৌধুরী

‘প্রত্যেকটা মানুষের মতো জীবনে মা ছাড়া আমরা একজিস্ট করতাম না। মা যখন অসুস্থ তখন আমরা ছাড়া কেউ ছিল না।

তখন আমাদের লাইফে মাকেই সবচেয়ে বড় প্রায়োরোটি ছিল। আমাদের যা ছিল সেটা দিয়েই শতভাগ চেষ্টা করেছি। ’ মাকে নিয়ে কথাগুলো বলছেন ঢাকাই সিনেমার নন্দিত অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতি ও অভিনেতা সোহেল চৌধুরীর কন্যা লামিয়া চৌধুরী।

যোগ করে তিনি বলেন, মাকে অনেক স্ট্রাগল করতে দেখছি। বাবা মারা যাওয়ার পর সিঙ্গেল মাদার ছিলেন, অনেক পরিশ্রম করে আমাদের বড় করেছেন, বিদেশ পাঠিয়েছেন, পড়াশোনা করিয়েছেন। মায়ের কাছ থেকে দেখেছি পৃথিবীতে যখন বিপদ আসে তখন কীভাবে হ্যান্ডেল করতে হয়।

ছোটবেলায় বাবা অভিনেতা সোহেল চৌধুরীকে হারিয়েছেন, অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতিও না ফেরার দেশে পারি জমিয়েছেন। তবে নিজের ট্রাজেডি সবচেয়ে বড় করে দেখছেন না লামিয়া। তার কথায়, প্রত্যেকটা মানুষের লাইফে ট্রাজেডি হয়। আমি এভাবে ভাবতে চাই না- আমার লাইফ এই ট্রাজেডি সবচেয়ে বড়। প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে এমন চ্যালেঞ্জ আসে। হয়তো বাবা-মা পাবলিক ফিগার থাকার কারণে আমার চ্যালেঞ্জগুলো মানুষ জানতে পেরেছে। আমি সবসময় ভাবি, আমার যা আছে সেটা দিয়ে জীবনকে  কীভাবে ভালো করা যেতে পারে।  

মা-বাবার মতো অভিনয়ে আসার ইচ্ছে নেই লামিয়ার। তিনি বলেন, আমার মাতো জানতো আমি খুব লাজুক এখনও তাই। ইন্টারভিউ দিতেও আমার খুব সাই লাগে। আমি কখনও ক্যামেরার সামনের বিষয়ে চিন্তা করি না। কখনও গ্ল্যামারাস কিংবা ট্যালেন্টেড ভাবি নাই। কিন্তু ছোটবেলা থেকে আমি খুব কল্পনা করতাম। গল্প বলার প্রতি একটা আগ্রহ ছিল, সেটা নিয়েই আগানোর চেষ্টা করছি।  

ছোটবেলা থেকেই সিনেমার প্রতি আগ্রহ ছিল লামিয়া চৌধুরীর। পড়াশোনার বিষয়ও ছিল সিনেমা। ‘মেয়েদের গল্প’ নামের সিনেমা নির্মাণের কথাও রয়েছে তার। কাজের অগ্রগতি জানিয়ে জানিয়ে এই স্টারকিড বলেন, কাজটা এখনো প্রি-প্রোডাকশনে আছে, এ বছরের শেষের দিকে শুটিংয়ের পরিকল্পনা করছি। ২০২৪ সালের শুটিং হওয়ার কথা ছিল কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতি কারণে সেটা পিছিয়ে গেছে। তবে এ বছর শুটিং করে ফেলব।  

তিনি আরও বলেন, আমার বাবা-মা যেহেতু অনেক গুণী মানুষ ছিলেন, তাদের ছায়াতলেই আমাদের পরিচয়টা গড়ে তুলেছি। অবশ্যই  মানুষের প্রত্যাশা অনেক আমার ওপর। সেটা আমাকে যেমন নার্ভাস করে, সেরকম অনুপ্রাণিতও করে। এ কারণে অনেক হার্ডওয়ার্ক করতে যাচ্ছি, যাতে মানুষ আশাহত না হয়।  

সন্তান হিসেবে মায়ের কাছ থেকে কোন বিষয়গুলো শিখেছেন? এ বিষয়ে লামিয়া বলেন, মায়ের মতো আমিও মানুষকে খুব ভালোবাসি। সবসময় মা চাইতো হাসিখুশি থাকতে এবং আশেপাশে পজিটিভিটি ছড়াতে, আমিও সেটা চেষ্টা করি। জীবনকে খুব উপভোগ করার চেষ্টা করি, কারণ আমি তো যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও কিছু ঘটতে পারে যেটা আমার বাবা-মার ক্ষেত্রে দেখিছি। যতটুকু পেয়েছি কৃতজ্ঞতা থাকতে চাই, সুখী থাকতে চাই। এগুলো মায়ের কাছ থেকে শিখেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫
এনএটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।