এবার ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করলেন নাট্য নির্মাতা নাজনীন হাসান খান। রাজীব মণি দাসের রচনায় নাটকটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আ খ ম হাসান।
এর গল্প প্রসঙ্গে জানা গেছে, কাদের গ্রামের সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতে চায়। এজন্য সে নিজেকে সবজান্তা মনে করে। তবে, এ যাবৎ সে যতগুলো পরামর্শ দিয়েছে, অধিকাংশই হিতে-বিপরীত হয়েছে। তার দেওয়া পরামর্শ নিয়ে কবিতার সঙ্গে বাকবিতন্ডা তৈরি হয় তার সবজান্তার বাবার বিরুদ্ধে। কবিতার এই কথাগুলো কিছুতেই সহ্য করতে পারে না কাদের। তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে মনে মনে ভাবে সে।
এদিকে গ্রামের হাফ মেন্টাল আনু সারাদিন সাধারণ মানুষকে বিরক্ত করে আনন্দ পায়। আনু কবিতাকে নিয়েও স্বপ্ন দেখে। যদিও আনু পাগলার কাণ্ডকীর্তি কবিতা মোটেও পছন্দ করে না। আনু পাগলার বাবা কবিতার জন্য তাদের বাড়িতে বিয়ে প্রস্তাব পাঠায়। এ কথা শুনে কবিতা ছুঁটে যায় কাদেরের কাছে। কবিতা তাকে নিয়ে পালিয়ে যেতে বলে। ঐদিকে আনু পাগলা বিয়ের আনন্দে মশগুল।
অন্যদিকে কাদেরের পরামর্শে শুরুতে গ্রামের মানুষ হতাশ হলেও ধীরে ধীরে কাজ করতে শুরু করেছে। এমনকি আনু পাগলা ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকে। একে একে সবাই ছুঁটে যায় কাদেরের কাছে, সবাই তাকে নিয়ে গর্ব করে। ‘সবজান্তা কাদেরের’ বিভিন্ন পরামর্শে হাস্য-রসাত্মক ঘটনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় গল্পের কাহিনী।
নাটকটি প্রসঙ্গে পরিচালক নাজনীন হাসান খান বলেন, হাসির উপজীব্য করে মানুষের জীবন দর্শন নাটকের মাধ্যমে প্রকাশ করা সত্যিই ভালো লাগার বিষয়। ভেজাল কাদের চরিত্রের মাধ্যমে আমরা যেন সমাজ জীবনে পরিবর্তনের একটা আবহ তৈরি করতে বদ্ধ পরিকর। এই চরিত্রটি কথা বলে পরিবর্তনের, অবদান রাখে সমাজ গঠনের।
নাট্যকার রাজীব মণি দাস বলেন, আমাদের সমাজে কেউ কিছু করতে গেলে প্রথমেই মানুষ তীরস্কার করা শুরু করে। এতে ঐ ব্যক্তি বাধাগ্রস্ত হয় এবং ক্ষেত্র বিশেষে তার গতিপথ থেকে সরে আসে। ভেজাল কাদের তার ব্যতিক্রম। সে অনড়, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আর তাই পরামর্শ দিয়ে এক সময় সে সফলতা লাভ করে।
ধারাবাহিক এ নাটকটি শিগগিরই প্রচারে আসবে। এর বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন তারেক স্বপন, রকি খান, রেবেকা রউফ, কাজী রাজু, আশরাফুল আশীষ, ফরিদ হোসাইন, ফাহমিদা রহমান তৃষা, এবি রশিদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৫
এনএটি